বিহারের গাহলৌর গ্রামে ২২ বছর ধরে পাহাড় ভেঙেছিলেন দশরথ মাঝি। একা হাতে পাহাড় কেটে বানিয়ে ফেলেন রাস্তা। সেই মাউন্টেন ম্যান বা পাহাড় মানবের কথা আমরা সবাই জানি। আজ আমরা আলাপ করব ‘পুকুর মানব’-এর সঙ্গে। এলাকার মানুষ তাঁকে এই নামেই চেনেন।
নিজে স্কুলে যাননি কখনও। সেই ছোট থেকে পশু পালন করেছেন। সেটাই তাঁর জীবিকা। ছেলেরও তাই। ৭২ বছরের সেই কালমানে কামেগৌড়া আজ গোটা দেশের কাছে হিরো।
কর্নাটকের বেঙ্গালুরু থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কামেগৌড়ার গ্রাম। ৪০ বছর ধরে দারুণ জলকষ্টে ভুগতেন এই গ্রামের বাসিন্দারা। ফসল শুকিয়ে যেত। পানীয় জলটুকু মিলত না। বন্য জীবজন্তু গরমের সময় জলের অভাবে মারা যেত। প্রশাসনকে জানিয়ে খুব একটা লাভ হয়নি।
তাই কামেগৌড়া নিজেই নেমে পড়েন কাজে। সারা জীবন ভেড়া, ছাগল বিক্রি করে ১০ লক্ষ টাকার মতো জমিয়েছেন। একা তিনি নন, ছেলেও। সেই টাকা দিয়ে কাছের পাহাড়ে ১৬টি পুকুর কাটিয়েছেন তিনি। পাহাড়ের গা বেয়ে জল নেমে জমা হয় ওই পুকুরে। সেকথা মাথায় রেখেই পুকুরের স্থান নির্বাচন করেছেন তিনি, যাতে গ্রীষ্মের সময়ও তা শুকিয়ে না যায়।
আশপাশের সমস্ত খালবিল শুকিয়ে গেলেও পাহাড়ের গায়ে এই ১৬টি পুকুরে সব সময় জল থাকে। এখানে এসে জল খেয়ে যায় বন্য প্রাণী, পাখিরাও।
নিজের সারাজীবনের সমস্ত পুঁজি দিয়ে পুকুর কাটিয়ে গিয়েছেন তিনি। কর্নাটক সরকার কামেগৌড়ার কাজের স্বীকৃতি দিয়েছে আগেই। চলতি বছরের শুরুতে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তাঁর গল্প বলেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর মোদীও।