জাপানের একটি অ্যাকোরিয়ামে একটি মাছের রং সম্প্রতি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেটি একটি ডেমন স্টিংগার মাছ (Demon Stinger)। মাছটির রং হলুদ বা বলা ভাল সোনালি হয়ে গিয়েছে। এই মাছ এতটাই বিষাক্ত যে একবার আক্রমণ করলে মানুষ বা বড় মাপের অন্য মাছ কিছুক্ষণের জন্য অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মাছটির রং কীভাবে হলুদ হল।
জাপানের ফুজসাওয়া শহরের এনোশিমা অ্যাকোরিয়ামে সম্প্রতি একটি মাছকে দেখতে খুব ভিড় করছেন দর্শকরা। এটি একটি দুর্লভ সোনালি ডেমন স্টিংগার। জাপানের সোশ্যাল মিডিয়ায় এর ছবি ভাইরাল হয়েছে। মাছটির ২৫ সেন্টিমিটার লম্বা।
দুর্লভ এই ডেমন স্টিংগারকে (Rare Golden Demon Stinger) সি গোবলিন বা ডেভিল স্টিংগারও বলা হয়। অ্যাকোরিয়ামের কর্মীরা জানাচ্ছেন, সাধারণত এই মাছের রং ধূসর বা বালির রঙের হয়। তবে প্রয়োজনে শিকার ধরার জন্য এরা জলের নিচের যে রং সেই মতো নিজেদের রং বদলে নেয়। তবে সোনালি রঙের এই মাছ প্রথমবার দেখা গেল।
এই মাছটির রং সোনালি কীভাবে হল তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে গবেষকদের মধ্যে। এক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, হয়ত জিনে মিউটেশানের কারণে এমনটা হয়েছে। তবে সেটা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে এই প্রশ্নও উঠছে যে, কেন মাছটি নিজের রং বদলাতে পারছে না।
এই মাছটির বিজ্ঞানসম্মত নাম Inimicus Didactylus। এগুলি সাধারণত ২৫-২৬ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। এর শরীরে থাকে বিষাক্ত কাঁটা। তাছাড়া এর চেহারা খানিকটা ফোলা, তাই একনজরে দেখলে পাথরের টুকরো মনে করে ভুলও হতে পারে।
ডেমন স্টিংগার সধারণত রাতে শিকার করে। এরা চুপিসারে জলের মধ্যে ঘুরে বেড়ায়। এবার কখনও জলের নিচের মাটি খুঁড়ে সেখানে লুকিয়ে থাকে। এদের দেহে সাধারণ মাছের মতো আঁশ থাকে না, বরং সেটি দেখতে হয় ছিত্রযুক্ত পাথরের মতো। আর এই মাছের সবচেয়ে বড় সুবিধা হয়, এর বিষাক্ত কাঁটার জন্য বড় মাছ বা অন্যকোনও জলজ প্রাণী এক শিকার করে না। ফলে এর প্রাণের ঝুঁকি সেভাবে নেই।