তাসমানিয়ান টাইগার বা তাসমানিয়ার বাঘ এখন বিলুপ্ত। প্রাণী বিজ্ঞানীরা এটিকে ১৯৩৬ সালে বিলুপ্ত বলেই ঘোষণা করেছিলেন। বাঘ বলা হলেও এটিকে দেখতে কুকুরের মতোই। এই মাংসাশী প্রাণীর প্রজাতিটি ছিল তুখোড় শিকারি।
কুকুরের সঙ্গে এর তফাত গায়ের ডোরাকাটা দাগে। আর গায়ের ডোরাকাটা দাগের জন্যই হয়তো একে ‘তাসমানিয়ান টাইগার’ বলা হয়। প্রাণী বিজ্ঞানীদের অনুমান, ২০০০ বছর আগে এটি অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
কিন্তু আসেপাশের বেশ কিছু এলাকায় মাঝে মাঝেই অনেকে তাসমানিয়ান টাইগারের (Tasmanian Tiger) দেখা পেয়েছেন বলে দাবি করেন। যদিও শেষপর্যন্ত তদন্তে তা প্রমাণিত হয়নি। শেষ তাসমানিয়ান বাঘটি ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৬ সালে হোবার্ট চিড়িয়াখানায় মারা গিয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের থাইলাসিন ইন্টিগ্রেটেড জেনেটিক রিস্টোরেশন রিসার্চ (TIGRR) নামে একটি ল্যাব তৈরির জন্য ৩.৬ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়া হয়েছে। এই ল্যাব তৈরির পর বিলুপ্তপ্রায় এই বাঘটিকে আবারও পৃথিবীতে আনার চেষ্টা করবেন বিজ্ঞানীরা।
প্রায় ৩,০০০ বছর আগে, তাসমানিয়ান টাইগার (Thylacine) অস্ট্রেলিয়াজুড়ে বিস্তৃত ছিল। কিন্তু ব্যাপক শিকার এবং ডিঙ্গোদের থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে হেরে একটা সময়ের পর প্রজাতিটি বিলুপ্ত হয়ে যায়।
আসলে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে ভেড়ার প্রতিপালনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই তাসমানিয়ান টাইগার (Thylacine)। খাবারের জন্য ভেড়া চুরি করে নিয়ে পালাত এই মাংসাশী প্রাণীটি। ফলে গবাদি পশুদের বাঁচাতে তাসমানিয়ান টাইগারের (Tasmanian Tiger) ব্যাপক শিকার শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিজ্ঞানীরা থাইলাসিন বা তাসমানিয়ান টাইগার পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে চান তার অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণটি হল বাস্তুতন্ত্রকে স্থিতিশীল রাখা। কিন্তু কীভাবে লুপ্ত প্রজাতির প্রাণীদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যাবে?
অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পাস্কের দল একটি থাইলাসিনের প্রথম জিনোম ক্রম প্রকাশ করেছিলেন ২০১৮ সালে। এর জন্য তিনি গত ১০০ বছর ধরে মেলবোর্ন মিউজিয়ামে সংগৃহীত নমুনা থেকে ডিএনএ ব্যবহার করেছেন। ইলাসিনের মতো মার্সুপিয়াল কোষ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বৈচিত্র্যের পরিসর এবং ব্যাপ্তি নির্ধারণ করবেন বিজ্ঞানীরা।