Advertisement

Airport Divorce: বিমানে ওঠার আগেই প্রেমিক প্রেমিকার বিচ্ছেদ! ভাইরাল 'এয়ারপোর্ট ডিভোর্স', কেসটা কী?

এয়ারপোর্টের মধ্যেই রাতারাতি বিচ্ছেদ হচ্ছে প্রেমিক যুগলের। উড়ানের আগেই ছাড়াছাড়ি হয়ে যাচ্ছে। ভাইরাল হয়েছে 'এয়ারপোর্ট ডিভোর্স' ট্রেন্ড। কেসটা কী?

এয়ারপোর্ট ডিভোর্স এয়ারপোর্ট ডিভোর্স
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 12 Nov 2025,
  • अपडेटेड 5:26 PM IST
  • এয়ারপোর্টের মধ্যে বিচ্ছেদ হচ্ছে প্রেমিক যুগলের
  • উড়ানের আগেই ছাড়াছাড়ি হয়ে যাচ্ছে
  • ভাইরাল এই ট্রেন্ডের মানে জানেন?

কেউ বিলেতে পড়তে যাওয়া সন্তানকে জড়িয়ে চোখের জল ফেলেন, কেউ আবার দীর্ঘদিন পর প্রিয়জনকে স্বাগত জানাতে ফুল নিয়ে পৌঁছন। বিমানবন্দরে প্রতিদিনই দেখা যায় নানা আবেগের বহিঃপ্রকাশ। কেউ বলেন, 'আলবিদা'। কারও মুখে থাকে, 'ওয়েলকাম'। তবে রাতারাতি সেই বিমানবন্দরগুলিই হয়ে উঠছে সম্পর্কের পরীক্ষা দেওয়ার মঞ্চ। এবার যুগলরা এয়ারপোর্টেই ডিভোর্স দিতে শুরু করেছেন। শুনতে অবাক লাগলেও এই 'এয়ারপোর্ট ডিভোর্স' এই মুহূর্তে সবচেয়ে চর্চিত বিষয়। কেসটা কী? 

'এয়ারপোর্ট ডিভোর্স' কী?
কিন্তু আপনি ঠিক যেমনটা ভাবছেন, বিষয়টা তেমনটা নয়। ব্রিটিশ লেখক হ্যু অলিভার প্রথম 'এয়ারপোর্ট ডিভোর্স' শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, 'এটা আসল বিচ্ছেদ নয়। বরং সম্পর্ক বাঁচানোর অভিনব উপায়।' হ্যু এবং তাঁর বাগদত্তা প্রতিবার উড়ান ধরার আগে কাকতালীয় ভাবে ঝগড়া করে ফেলতেন। তাঁদের মধ্যে যখন একজন প্রথমে বোর্ডিং করতে চাইতেন, তখন অপর জন ডিউটি ফ্রি শপে ঘুরতে পছন্দ করতেন। এই ছোট ছোট কারণে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া লেগে যেত। 

সেই থেকে এই প্রেমিক যুগল একটি সিদ্ধান্ত নেয়। সিকিউরিটি চেকিংয়ের পর এয়ারপোর্টে উড়ানের আগে তাঁরা আলাদা আলাদা ঘুরবেন। নিজের পছন্দ মতো সময় কাটাবেন। তারপর ফের বিমানে উঠে একসঙ্গে হবেন তাঁরা। নিজেদের এই অভিজ্ঞতাকেই এই প্রেমিক যুগল 'এয়ারপোর্ট ডিভোর্স' বলে উল্লেখ করেছেন। এভাবেই সম্পর্কে সাময়িক দূরত্ব এনে তাকে আরও মজবুত করে তোলা হয়।

কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ট্রেন্ড চলছে? 
দ্য টাইমস-এ মনের কথা ব্যাখ্যা করেন হ্যু অলিভার। তাঁর লেখা থেকেই 'এয়ারপোর্ট ডিভোর্স' সোশ্যাল মিডিয়া এবং খবরের কাগজে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বজুড়ে যুগলরা এই ট্রেন্ডে গা ভাসাতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ নিছক মজা করেই এটি করছেন। কেউ আবার ভাবছেন সত্যিই এই পদ্ধতি সম্পর্ককে তলানিতে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে। 

মার্কিন টেলিভিশন হোস্ট কেলি রিপা নিজের স্বামীর সঙ্গে 'এয়ারপোর্ট ডিভোর্স' করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন। তারপর থেকেই এই ভাইরাল ট্রেন্ড এখন বিশ্বের ছোট বড় এয়ারপোর্টগুলিতে চোখে পড়ছে। 

Advertisement

বৈজ্ঞানিক কারণ
যে কোনও যাত্রায় ট্রাভেল স্ট্রেস আসতে পারে। উড়ান অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের মনে চিন্তা এবং উদ্বেগের সৃষ্টি করে। ফলে দীর্ঘ বিমানযাত্রা, সিকিউরিটি চেকিংয়ের ধাক্কা, লাগেজের ঝঞ্ঝাটে যাত্রীরা অতিষ্ট হয়ে ওঠেন। এর মাঝে ছোট ছোট কারণে যুগলদের মধ্যে ঝামেলা বেঁধে যায়।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছুক্ষণ একে অপরকে স্পেস দিলে সম্পর্ক মজবুত হয়। 

তবে এই প্রক্রিয়া সকলেরই ক্ষেত্রেই যে কার্যকর হবে তেমনটা নয়। যদি আপনার সঙ্গে সন্তান থাকে বা দীর্ঘ যাত্রাপথ হয় তবে 'এয়ারপোর্ট ডিভোর্স' কাজে না-ও লাগতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়া সকলেরই অনুভব করাচ্ছে, সম্পর্কে একে অপরকে স্পেস দেওয়া প্রয়োজন। সর্বদা একসঙ্গে থাকাই ভালোবাসা নয়, কখনও কখনও একলা থেকে একে অপরের প্রতি টান অনুভব করাটাও জরুরি।  

 

Read more!
Advertisement
Advertisement