"আমি তোমার প্রেমে হব গো ভিখারি" এমনটা কবিতায় সাহিত্যে শুনতে ভালো লাগে। তা বলে সত্যি কখনও যদি এমন হতে হয়, তাহলে তা কিন্তু মোটেও ভাল হবে না। কল্পনা নয় কিন্তু এমনই ঘটনা ঘটেছে বাস্তবের পর্দায়।যা নিয়ে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে ব্যাপক হইচই।
ফূর্তির খরচ ওঠাতে গার্লফ্রেন্ডকে দিয়ে ভিক্ষা !
প্রেমের সময় ফূর্তির খরচ ওঠাতে এক যুবতীর বয়ফ্রেন্ড তাঁকে দিয়ে রাস্তায় ভিক্ষে করিয়েছেন বলে দাবি করে হইচই ফেলে দিয়েছেন এক যুবতী। রাস্তায় ভিক্ষা করতে বাধ্য করেছেন শুধু এটুকুই নয়, যেদিন কামাই কম হয়েছে, সেদিন তাকে নির্দয়ভাবে মারধর করে ওই যুবক বলে জানিয়েছেন যুবতী। আপাতত যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে বয়ফ্রেন্ডকে শ্রীঘরে থাকতে হচ্ছে।
সীমা ছাড়িয়ে গেলে গ্রেফতার
সীমা সেদিন ছাড়িয়ে গিয়েছে, যে দিন ওই বয়ফ্রেন্ড যুবতীকে মেরে জখম করে দেয়। আপাতত ওই যুবক যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে গারদের পিছনে রয়েছেন বয়ফ্রেন্ড বাবাজীবন। আসুন জেনেনি পুরো ঘটনাটি।
পজেসিভনেস পৌঁছে যায় অত্যাচারে
মিররের রিপোর্ট অনুযায়ী কানাডার পিটারবরো এলাকার ২২ বছর বয়সী নিকোল ক্লার্জেস নিজের ২১ বছর বয়সী বয়ফ্রেন্ড কাইল হেলম এর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর তার কার্যকলাপে অবাক হয়ে যান। নিকোল জানান, শুরু থেকেই জোরজবরদস্তি করত কাইল। প্রথমেই তাঁকে পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের থেকে আলাদা করে দেয় সে। তাও তিনি মেনে নিয়েছিলেন ভালোবাসার খাতিরে।
ক্রীতদাসী বানাতে চেয়েছিল বয়ফ্রেন্ড
তাঁরা একই হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতেন এবং খুব দ্রুত তাঁরা একে অন্যের সঙ্গে দেখা করেন এবং ডেট করতে শুরু করেন। কিন্তু একদিন কাইল নেশার ঘোরে নিকোলের মুখে সজোরে ঘুষি মারেন। বিরোধ করলে সে ক্ষমা চেয়ে নেয় এবং বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু দিনের পর দিন কাইল নিজের গার্লফ্রেন্ড এর উপর নিজের লাগাম কষার চেষ্টা করতে থাকে। তাকে একমাত্র ক্রীতদাসীর মতো বানিয়ে ফেলার এবং তাঁকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ।
হোস্টেল বদলেও পার পাননি
তখন থেকেই নিকোলের কাইলের সঙ্গ পছন্দ হচ্ছিল না। তাই তিনি আলাদা থাকার জন্য হোস্টেল বদলে দেন। কিন্তু তাঁর পিছনে এসে তাকে খুঁজে বের করেন এবং নিকোলের মোবাইল চেক করতে শুরু করেন। কাইলের সঙ্গে কাউকে কথা বলতে দিত না, এবং এসেই জোরজবরদস্তি করে মারধর শুরু করত। শুধু তাই নয় নিকোলের ক্রেডিট কার্ড নিজের কাছে রাখতো এবং সমস্ত টাকা উঠিয়ে মদ্যপান করে উড়িয়ে দিত। কিন্তু একদিন সে সমস্ত সীমা লংঘন করে।
ভিক্ষায় আয় কম হওয়ায় রাস্তাতেই মারধর
নিকোল জানান যে অক্টোবর ২০১৮ তে কাইল এক ভিখিরির সঙ্গে দেখা করে আসেন এবং সে ভালো টাকা ভিক্ষা করে রোজগার করে বলে জানায়। আমাকে জোর করে ভিক্ষা করতে জোর করতে থাকে। পিটার্সবরো টাউনে ঠান্ডার মধ্যে ফুটপাতে আগন্তুক এবং পথচারীদের কাছ থেকে ভিক্ষা চাইতে বাধ্য করে নিকোলকে। ভয়ে সে একাজ শুরু করে। এরকম কয়েকদিন চলতে থাকে। ভালো ইনকাম হচ্ছিল। একদিন কামাই একটু কম হয়। কাইল ক্ষেপে যায়। নিকোলকে রাস্তার মাঝখানেই ব্যাপক মারধর করে। তারপর আর সহ্য করেননি তিনি। পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নিকোল। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।