নিজেকে রিয়েল লাইফ ডল বা পুতুলে পরিণত করতে ১১ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ করলেন এক মডেল। তবে এখন তিনি নিজের পুরনো লুকেই ফিরে যেতে চাইছেন। কারণ তাঁর মনে হয়েছে, এই পরিবর্তিত লুকে তাঁকে নিজের বয়সের চেয়ে অনেক বড় দেখাচ্ছে। ডেলি মেলের খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্কের ২১ বছর বয়সি ক্যান্ডিস ক্লস (Candice Kloss) নিজের গাল চোয়াল এবং ঠোঁট থেকে ফিলার সরিয়ে দিয়েছেন যাতে তিনি নিজের আগের লুকে ফিরে যেতে পারেন। ক্যান্ডিস জানাচ্ছেন, ২০১১ সালে নিজের মুখে ফিলার লাগিয়েছিলেন তিনি। কারণ তাঁর মনে হয়েছিল এতে তাঁকে পুতুলের মতো দেখাবে। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, ততই তাঁর মনে হয়েছে যে তাঁকে নিজের বয়সের চেয়ে অনেক বেশি বড় দেখাচ্ছে। যার জন্য তিনি ফিলারগুলি সরিয়ে দেন। তিনি এও জানান যে, এখন তাঁর মনেই নেই যে আসলে তাঁকে কেমন দেখতে ছিল।
তবে নিজেকে রিয়েল লাইফ ডল দেখানোর জন্য এইসব করায় তাঁর কোনও আফসোস নেই। বরং এটি খুব ভাল অভিজ্ঞতা বলেই জানাচ্ছেন তিনি। ক্যান্ডিস বলছেন, যুবতীরা মাঝে মধ্যেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেন। তিনিও তাঁর এই নকল লুক নিয়ে বেশ কয়েক বছর কাটিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু এখন তিনি নিজের আসল লুক ফিরে পেতে চান।
ক্যান্ডিসের কথায়, তিনি ছোট থেকেই নিজেকে একটি বার্বি ডলের মতো দেখাতে চাইতেন। যখন তিনি এই বিষয়ে তাঁর বাবা-মাকে প্রথমবার জানান তখন তাঁরাও চমকে গিয়েছিলেন। যদিও পরে তাঁরাও অনুমতি দিয়ে দেন। আর এখন তিনি নিজের আসল চেহারা ফিরে পেতে চাওয়ায় ভীষণ খুশি বাড়ির লোকজন।
ওই মডেল আরও জানাচ্ছেন, মেক-আপ করার জন্য রোজ তাঁর ৪৫ মিনিট সময় লাগে। তাছাড়া চুলে ব্লিচ ও এক্সটেনশান করার জন্যও প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। তাছাড়া নিজেকে পুতুলের মতো দেখাতে সবসময় সাদা বা গোলাপী রঙের পোশাকই পরেন তিনি। নিজের লুকের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াতেও যথেষ্ট জনপ্রিয় ক্যান্ডিস। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ৬৩ হাজারেরও বেশি ফলোয়ার্স রয়েছে। প্রসঙ্গত, ক্যান্ডিসই প্রথম নন যিনি নিজের লুক বদলেছেন। অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্বও লুক পরিবর্তনের জন্য প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছেন।