Advertisement

Lord Jagannath Doorway Mat: জগন্নাথের ছবি দেওয়া পাপোশ বিক্রি, চিনা কোম্পানির নোংরামি, শেষ পর্যন্ত...

বিষয়টি সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওড়িশাবাসী এবং দেশের বহু হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ। তাঁদের মতে, যিনি কোটি কোটি মানুষের আরাধ্য, তাঁর ছবি পায়ের তলায় বসানো চরম অসম্মান।

জগন্নাথের ছবি দেওয়া পাপোশজগন্নাথের ছবি দেওয়া পাপোশ
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 31 Jul 2025,
  • अपडेटेड 2:00 PM IST
  • পাপোশে ভগবান জগন্নাথের ছবি
  • ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওড়িশাবাসী
  • জনরোষে পিছু হঠল AliExpress

হিন্দুধর্মের দেবতা জগন্নাথ নিয়ে নোংরামি বন্ধ করতে বাধ্য হল চিনের ই-কমার্স সংস্থা AliExpress। ভারতে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার মুখে পিছু হঠতে বাধ্য হল চিনের ওই সংস্থা। ভগবান জগন্নাথের ছবি আঁকা পাপোশ বিক্রি করছিল।

পাপোশে ভগবান জগন্নাথের ছবি

 AliExpress ওয়েবসাইটে কয়েক দিন আগে একটি প্রোডাক্ট আপলোড করে। একটি পাপোশ, সেই পাপোশে ভগবান জগন্নাথের ছবি। তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে ভারতে। পাপোশটির দাম রেখেছিল ৭৮৭ টাকা। নাম ছিল ‘Lord Jagannath Mandala Art Mat Doorway’।  এই পাপোশ নিয়ে প্রথমে সরব হয় ওড়িশার মানুষ। গোটা ভারতেই হিন্দুধর্মে বিশ্বাসীরা নিন্দায় সরব হন। বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, এক মডেল সেই চটইয়ের উপর দাঁড়িয়ে আছেন, যার মাঝে আঁকা রয়েছে পবিত্র জগন্নাথদেবের ছবি।

জগন্নাথের ছবি দেওয়া পাপোশ

ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওড়িশাবাসী

বিষয়টি সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওড়িশাবাসী এবং দেশের বহু হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ। তাঁদের মতে, যিনি কোটি কোটি মানুষের আরাধ্য, তাঁর ছবি পায়ের তলায় বসানো চরম অসম্মান।

সুদর্শন পট্টনায়েকের পোস্ট

এই ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন রাজনৈতিক নেতারাও। বিজু জনতা দলের মুখপাত্র ও সাংসদ অমর পট্টনায়ক এক্স-এ লেখেন, 'ভগবান জগন্নাথের পবিত্র ছবি দিয়ে পাপোশ বিক্রির বিষয়টি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি লক্ষ লক্ষ ভক্তের ভাবাবেগে আঘাত।' বিশ্বখ্যাত বালির শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়কও কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি লেখেন,  'জয় জগন্নাথ। এই অবমাননাকর কাজের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বজুড়ে ভক্তদের প্রতিবাদ জানানো উচিত। অবিলম্বে পণ্যটি সরিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।'

জনরোষে পিছু হঠল AliExpress

প্রচণ্ড জনরোষের মুখে শেষমেশ পণ্যটি সরিয়ে নেয় AliExpress। এক্স-এ সংস্থাটি জানায়,  'আপনাদের ফিডব্যাকের জন্য ধন্যবাদ। আমরা রিপোর্ট করা পণ্যটি খতিয়ে দেখে সরিয়ে নিয়েছি। আমরা চাই প্ল্যাটফর্মটি নিরাপদ থাকুক, আপনাদের সাহায্যে আমরা আমাদের পর্যালোচনার প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করছি।' এ ঘটনার পর ভক্তদের দাবি, এই ধরনের ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement