Advertisement

বসে বসে খেলেই মিলবে ১ লাখ টাকা বেতন, ওজন বাড়লে মিলবে বোনাসও; এই চাকরি করবেন নাকি?

কোনও কাজ নেই। শুধু খাওয়া ছাড়া। আর সেজন্য মিলবে বেতনও। তাও আবার মাসে মাসে লাখ লাখ টাকা। চিনের এই 'ফুড টেস্টার' বা 'সেন্সরি ইভালুয়েশন ইঞ্জিনিয়ার'-এর এই চাকরির খবরটা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হচ্ছে।

ফাইল ছবি ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 03 Dec 2025,
  • अपडेटेड 2:15 PM IST
  • কাজ শুধু বসে বসে বসে খাওয়া
  • তাহলেই মিলবে লাখ লাখ টাকা বেতন

কোনও কাজ নেই। শুধু খাওয়া ছাড়া। আর সেজন্য মিলবে বেতনও। তাও আবার মাসে মাসে লাখ লাখ টাকা। চিনের এই 'ফুড টেস্টার' বা 'সেন্সরি ইভালুয়েশন ইঞ্জিনিয়ার'-এর এই চাকরির খবরটা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আপনি অনেক খেয়ে মোটা হয়ে গেলে অতিরিক্ত টাকা দিচ্ছে কোম্পানি। যাকে বলা হচ্ছে 'ওজন বৃদ্ধি ভর্তুকি'। ফলে আপনার মনে হতেই পারে এটি এমন একটা চাকরি যেটা করলে বসে বসে খাওয়া যাবে আবার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সও বাড়বে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? আসুন জেনে নিই। 

প্রকৃত ঘটনা হল,  'ফুড টেস্টার'-দের কোনও সুপারমার্কেট বা খাবারের কারখানায় চাকরি দেওয়া হয়। বাজারে কোনও নতুন খাবার এলেই তা টেস্ট করানো হয় তাঁদের দিয়ে। আর সেজন্য মাসে বেতন দেওয়া হয় ১ লাখ টাকা। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এই কাজটি অত্যাচারের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। স্বাদ গ্রহণকারীদের প্রতিদিন কম করে ৫০টি আইসক্রিম এবং কেজি কেজি মাংস খেতে হয়। যে কোনও ঋতুই হোক না কেন, ৪০-৫০টি আইসক্রিম খেতেই হবে। এক একজনকে সকালে প্রায় আড়াই কেজি মাংস খেতে হয়। 

এত খাবারের ফলে 'ফুড টেস্টার'-রা মোটা হতে শুরু করেন। যদিও ওজন বৃদ্ধির জন্য তাঁদের অতিরিক্ত ভাতা দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে প্রকাশ, একজন খাদ্য পরীক্ষকের কাজের প্রথম মাসেই কম করে ১০ কেজি ওজন বেড়ে যায়। মজার বিষয় হল, এই ওজন বৃদ্ধিকে দুর্বলতা বলে মনে করা হয় না। বরং তাঁদের বোনাসও দেওয়া হয়। 

তবে খাবারের স্বাদ গ্রহণ করলেই যে কাজ শেষ, তা কিন্তু নয়। খাওয়ার রিপোর্টও দিতে হয় তাঁদের। সেই রিপোর্টে ভুল হলে চাকরিও যেতে পারে খাদ্য পরীক্ষকের। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার খাবার খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেক্ষেত্রে কোম্পানিই তাঁদের চিকিৎসার খরচ বহন করে থাকে। সুতরাং এই চাকরিতে যেমন টাকা আছে তেমন প্রাণের ঝুঁকিও থাকে। 

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement