
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা চলছে। এনডিএ-এর জয় প্রায় নিশ্চিত। আর এরই মাঝে বিহারে ঝড় তুলল 'এ রাজাজি...'। সৌজন্যে, মনোজ তিওয়ারি। কখনও বিজেপি কার্যালয়ে বসে সাংবাদিকদের সামনে, আবার কখনও এনডিএ-র আলিনগর আসনের প্রার্থী মৈথিলী ঠাকুর এই গান ধরছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা রীতিমতো ভাইরাল।
রাজনীতিতে আসার আগে বেশ জনপ্রিয় গায়ক-অভিনেতা ছিলেন মনোজ তিওয়ারি। ভোজপুরি, বিহার, উত্তরপ্রদেশ বেল্টে তাঁর জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। অন্যদিকে মৈথিলী ঠাকুরও ভজন এবং লোকগানের জন্য বিহারের ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ। তাই ভোটের দিনের উত্তেজনার মাঝে তাঁদের গলায় এই গান মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গেল।
এদিন এনডিএ-র এগিয়ে থাকা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেই মনোজ তিওয়ারি উত্তর দেওয়ার বদলে গান গাইতে শুরু করেন।
'এ রাজা জি... একারে তা রাহাল হা জারুরত, মুহূরত খুবসুরত হো'
কিন্তু এই গানের মানে কী?
সহজ বাংলায়, 'এ রাজা জি... এটাই তো দরকার ছিল, সময়টা খুব সুন্দর হোক...'
তিনি বলেন, এই গান বিহারে 'আশীর্বাদের প্রতীক'। বিহারে কোনও শিশু জন্মালেও তার ভবিষ্যতের মঙ্গল কামনায় এই 'সোহার' গাওয়া হয়।
একই গান গাইছেন মৈথিলী ঠাকুরও। তিনি বলছেন, সোহার আসলে বিহারের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। শিশুর জীবন, সাফল্য এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনায় এই গান গাওয়া হয়।
এই গান বহু পুরনো। সম্প্রতি ‘পঞ্চায়েত’ ওয়েব সিরিজে ব্যবহারের পর নতুন জেনারেশনের মধ্যেও এটি দারুণ পপুলারিটি পায়। সিরিজে গানটি গেয়েছেন মনোজ তিওয়ারিই।
গানটি কার লেখা?
বিখ্যাত লোকশিল্পী গায়ত্রী ঠাকুর ব্যাস এই গানের রচয়িতা বলে মনে করা হয়। বাংলায় সেভাবে তাঁর নাম কেউ শোনেননি। তবে বিহারি তিনি ভীষণ পরিচিত নাম। তাঁকে ভোজপুরি সংগীতজগতের আত্মাও বলা হয়। তাঁর লেখা সোহর বিহারের লোকসংস্কৃতিকে এক অন্য় মাত্রায় পৌঁছে দেয়।
গানের লিরিক্সও বেশ অভিনব। ভোজপুরি থেকে বাংলা করলে দাঁড়ায়, 'শিশু বড় হোক। বড় হয়ে সে দেশের ‘হিন্দকেই সিতারা’ হবে, জিএম থেকে ডিএম, সিএম হয়ে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীও হতে পারে।' বিহার নির্বাচনের ভোট গণনার সময়েও হয় তো নতুন বিহারের শুভ কামনা চাইছেন ওঁরা। আর সেই কারণেই আজ ফের ট্রেন্ডিং 'এ রাজা জি'।