Advertisement

Hanuman Phone: ফোন কেড়ে নিল হনুমান, ফেরত চাইতেই ভয়ানক কান্ড! বর্ধমানে তুলকালাম

বর্তমান যুগটা স্মার্টফোনের। একটা টাচেই হাতের মুঠোয় গোটা দুনিয়া। কিন্তু সেই ফোনই হল হাতছাড়া! তবে চোর কোনও মানুষ নয় -হনুমান। আর সেই ফোন ফিরে পেতে শুরু হল কাকুতি-মিনতির পর্ব।

হনুমানের কাছে ফোনের জন্য কাকুতি-মিনতি চলছে।হনুমানের কাছে ফোনের জন্য কাকুতি-মিনতি চলছে।
প্রীতম ব্যানার্জী
  • বর্ধমান,
  • 23 Feb 2025,
  • अपडेटेड 4:54 PM IST

বর্তমান যুগটা স্মার্টফোনের। একটা টাচেই হাতের মুঠোয় গোটা দুনিয়া। কিন্তু সেই ফোনই হল হাতছাড়া! তবে চোর কোনও মানুষ নয় -হনুমান। আর সেই ফোন ফিরে পেতে শুরু হল কাকুতি-মিনতির পর্ব।

পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার ঘটনা। স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের এক হোটেলে কাজ করেন সোনালি চক্রবর্তী। শনিবার হোটেলে কাজ করার সময় হঠাৎই একটি হনুমান এসে হাজির। অতিথিকে তো সন্মান করতেই হয়! সোনালি হনুমানটিকে খাবার-জল দিলেন। কিন্তু সেই অতিথির চোখ অন্যদিকে। একঝটকায় তুলে নিল সোনালির মোবাইল।

এরপর শুরু হল মোবাইল ফেরতের চেষ্টা। আশপাশের লোকজনও এগিয়ে এলেন সাহায্যে। বিস্কুট, চপ, ফুলুরি, কেক, কলা—প্রত্যেকটি আইটেম দিয়েই তোষামোদ করা হল। কিন্তু হনুমানের মন গলল না। ফোন হাতে নিয়ে দিব্যি বসে সে। যেন নিজের নতুন কেনা ফোনে ইনস্টাগ্রাম চেক করছে!

সোনালি মোবাইল নিতে এগোতেই হনুমান পা বাড়িয়ে দিল। এ যেন পা ধরে চাইতে বলা হচ্ছে! দায়ে পড়ে সেটাও শুরু করলেন সোনালি ও পথচারীরা। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হল না। হনুমান ফোন আর দিতেই চায় না!

হনুমানেরও স্মার্টফোনের নেশা ধরল নাকি!

শেষে সোনালি হাতজোড় করে অনুরোধ করলেন। তাতেও কাজ হল না। এবার মোবাইলের মালিকের একটু রাগই হল। এত আদর অ্যাপায়নের পরেও ফোন না দিলে রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক।

সোনালি হনুমানের হাত থেকে ফোন কেড়ে নিতে গেলেন। কিন্তু বিষয়টা মোটেও ভাল লাগল না হনুমান বাবাজীর। রীতিমতো তেড়ে এল। আশেপাশের লোকজনও বেশ একটু ঘাবড়ে গেল।

এভাবে আরও বেশ কিছুক্ষণ অনুরোধের পর শেষমেশ মন গলল হনুমানের। বহু নাটকের পর ফেরত দিল মোবাইল।

সাধের স্মার্টফোন হাতে পেয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন সোনালি। আর হনুমান? সে হয়তো মনে মনে বলছে, 'আহা, কী সুন্দর কাটল দিনটা! ফোন ঘাঁটাও হল, খাওয়াটাও মন্দ হল না।' 

রিপোর্টার -সুজাতা মেহেরা

Read more!
Advertisement
Advertisement