Advertisement

Japan: '৫০০টিরও বেশি সম্পর্ক, পর্নস্টারদের সঙ্গেও রিলেশন', স্বামীর 'অপকর্ম' নিয়ে বই লিখেছেন স্ত্রী

স্বামীর একের পর এক বিশ্বাসঘাতকতায় ভেঙে পড়লেও দমে যাননি তিনি। বরং সেই যন্ত্রণা, লড়াই আর আত্মসম্মান রক্ষার গল্পকেই বইয়ের পাতায় তুলে ধরেছেন এক জাপানি নারী। অভিযোগ, তাঁর স্বামীর জীবনে ছিল ৫০০-রও বেশি অবৈধ সম্পর্ক। প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী থেকে শুরু করে এসকর্ট পরিষেবা প্রদানকারীদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 16 Dec 2025,
  • अपडेटेड 7:42 PM IST
  • স্বামীর একের পর এক বিশ্বাসঘাতকতায় ভেঙে পড়লেও দমে যাননি তিনি।
  • বরং সেই যন্ত্রণা, লড়াই আর আত্মসম্মান রক্ষার গল্পকেই বইয়ের পাতায় তুলে ধরেছেন এক জাপানি নারী।

স্বামীর একের পর এক বিশ্বাসঘাতকতায় ভেঙে পড়লেও দমে যাননি তিনি। বরং সেই যন্ত্রণা, লড়াই আর আত্মসম্মান রক্ষার গল্পকেই বইয়ের পাতায় তুলে ধরেছেন এক জাপানি মহিলা। অভিযোগ, তাঁর স্বামীর জীবনে ছিল ৫০০-রও বেশি অবৈধ সম্পর্ক। প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী থেকে শুরু করে এসকর্ট পরিষেবা প্রদানকারীদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই মহিলা একা হাতে বড় করেছেন তাঁর অসুস্থ সন্তানকে। তাঁদের ছেলে একটি অত্যন্ত বিরল রোগে আক্রান্ত, যা গোটা বিশ্বে মাত্র ৩০ জনেরও কম মানুষের মধ্যে দেখা গেছে। স্বামীর অবিশ্বস্ততা ও সন্তানের অসুখ, দুটো চাপই সামলেও ভেঙে পড়েননি তিনি। বরং নিজের জীবনের এই কঠিন অভিজ্ঞতাকেই সাহসের সঙ্গে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেন।

জাপানি ম্যাগাজিন শুকান বুনশুন জানাচ্ছে, গৃহিণী নেমু কুসানোর সঙ্গে এক বন্ধুর মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল তাঁর স্বামীর। গম্ভীর ও লাজুক স্বভাবের মানুষ বলে স্বামীকে তিনি সম্পূর্ণ বিশ্বাস করতেন। কখনও ভাবেননি, এই মানুষটিই একদিন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় বিশ্বাসভঙ্গের কারণ হবেন।

সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব ও সন্তানের চিকিৎসার ভার একা কাঁধে নেওয়ার মাঝেই একদিন সন্দেহ দানা বাঁধে। স্বামীর ব্যাগে কনডম ও ভায়াগ্রা এবং ফোনে ডেটিং অ্যাপের নোটিফিকেশন দেখে সত্য সামনে আসে। প্রথমে স্বামী বিষয়টিকে ‘কাজের চাপ’ বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং কোনও অনুশোচনাও দেখাননি।

কিন্তু কুসানো হাল ছাড়েননি। ফোন চ্যাট, নথি ও বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য জোগাড় করে তিনি জানতে পারেন, স্বামীর মোট সম্পর্কের সংখ্যা ৫২০। রাগ ও অপমানের মুহূর্তে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা ভাবলেও, শেষ পর্যন্ত সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সে পথ থেকে সরে আসেন তিনি।

পরবর্তীতে জানা যায়, স্বামী দীর্ঘদিন ধরেই যৌন আসক্তিতে ভুগছিলেন এবং চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। কুসানো তাঁকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান এবং পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন। এখন তাঁরা আলাদা থাকেন। একা সন্তানকে বড় করছেন কুসানো।

Advertisement

নিজের যন্ত্রণা ও সংগ্রামকে সমাজের সামনে তুলে ধরতে জাপানি মাঙ্গা শিল্পী পিরিও আরাইয়ের সহায়তায় তিনি তাঁর জীবনের গল্পকে রূপ দিয়েছেন একটি সচিত্র বইয়ে। এই বই শুধু তাঁর ব্যক্তিগত মুক্তির মাধ্যম নয়, বহু একক মায়ের কাছেও হয়ে উঠেছে অনুপ্রেরণার গল্প।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement