বাথরুমে গিয়েছিল ৬ বছরের ছোট্ট মেয়ে। কে জানতো সেখানেই ঘাপটি মেরে বসে আছে কালান্তক যম। তামারা আব্দুল রহমান নামেই বাচ্চাটি বাথরুমে যেতেই লুকিয়ে থাকা সাপ বেরিয়ে এসে তার পায়ে কামড়ে দেয়। ছুটে এসে পরিবারের লোকজন থাকে, হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনার পর পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ছ বছরের প্রাণখোলা শিশুর মৃত্যুতে স্তব্ধ পরিবার
ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। দ্য মিরর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, শিশুটির পিতা জানিয়েছেন, covid-19 প্রতিবন্ধকতার কারণে দীর্ঘদিন বিধি-নিষেধ ছিল। তা উঠে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন বাদে স্কুল যেতে শুরু করেছিল বাচ্চাটি। ফলে বন্ধুবান্ধব পেয়ে খুশি ছিল। সে স্কুলে নতুন নতুন জিনিস শেখার ব্যাপারে বাচ্চাটি অত্যন্ত উৎসাহী ছিল।
কীভাবে সাপ এল জানা নেই
বাচ্চাটির বাবা জানায় এই সাপটি বাথরুমে কীভাবে কখন ঢোকে বসে আছে তা আমরা ঘুনাক্ষরেও টের পাইনি।স্বাভাবিক নিয়মে শৌচাগারে গিয়েছিল মেয়ে সেখানে এমন দুর্ঘটনা ঘটে যাবে তা বুঝে উঠতে পারিনি।
হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি
শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, সাপে কামড়ানোর পরই বাচ্চাটির চিৎকারে তারা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে বিষধর সাপের বিষ সারা শরীরে ছড়িয়ে গিয়েছিল। যা বাচ্চাটিকে কাবু করে ফেলে। রক্তে মিশে যাওয়ায় শেষরক্ষা হয়নি।
এর আগে কোনও দিনও বাড়িতে সাপ ঢোকেনি
শিশুর পিতা জানিয়েছেন, এর আগে কখনও তারা তার বাড়িতে সাপ ঢুকতে দেখেননি। ফলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তাঁদের কল্পনার বাইরে। সৌদি আরবের মরু এলাকায় এবং পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন প্রকার বিষাক্ত সাপ রয়েছে। যা শুধুমাত্র বিষাক্তই নয়, নির্বিষ সাপ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। তার মধ্যে কিং কোবরা বা শঙ্খচূড় সবচেয়ে বিষধর।
শঙ্খচূড়ের বিষ থেকে বাঁচা কার্যত অসম্ভব
কতটা বিষধর এই সাপ, সেখানে গত বছর ভারতে ব্রিটিশ ব্যক্তিকে শঙ্খচূড় কামড়ালে তার দৃষ্টিশক্তি চলে যায়। এই ঘটনার যোধপুরে হয়েছিল। ব্রিটিশ ওই ব্যক্তির বিষয়ে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, অত্যন্ত ভাগ্যশালী যে তিনি কিং কোবরার দুবার কামড়ানোর পরও বেঁচে গিয়েছেন। ভগবানের কাছে তার ধন্যবাদ দেওয়া উচিৎ, বিষধর সাপ কামড়ানোর পর তিনি শুধুমাত্র দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। কিং কোবরার বিষের থলিতে যত বিষ থাকে তাতে কুড়িজনকে একবারে মেরে ফেলতে পারে।