রবিবার লন্ডনের পাতাল রেলে এক আজব দৃশ্য দেখা গেল। বিনা প্যান্টেই ট্রেনে চড়লেন শ'য়ে শ'য়ে যাত্রী। শুধু অন্তর্বাস পরেই মেট্রো চড়লেন। এই প্রথম নয়, গত বেশ কয়েক বছর ধরেই এই 'নো ট্রাউজার্স টিউব রাইড' ইভেন্টটা চলছে। স্রেফ মজার উদ্দেশ্যে এই রীতি!
৪০ বছর বয়সী জিম ট্রেনার ডেভ সেলকার্ক এবারের ইভেন্টের লিডার বলা যেতে পারে। তাঁর ডাকে চায়নাটাউনে সকল অংশগ্রহণকারীরা জড়ো হন। এরপর পিকাডিলি সার্কাস স্টেশনের দিকে রওনা দেন। সেখান থেকে তাঁরা বিভিন্ন ট্রেনে চড়ে বসেন। সাধারণ যাত্রীদের মাঝেই মিশে যান তাঁরা। বিনা প্যান্টে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ-মহিলাদের দেখে ঘাবড়ে যান নিত্যযাত্রীরা। যদিও সেখানকার অনেকেই এই রীতির কথা জানেন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডেভ সেলকার্ক জানান, 'আজকাল চারদিকে এত খারাপ-খারাপ ঘটে চলেছে, তাই একটু মজা করার জন্যই এটা করা।'
আইনজীবী বাসিল লং শীতের মোটা কোট খুলে গোলাপি অন্তর্বাস, রামধনু-স্ট্রাইপ শার্ট এবং মোজা পরেই ট্রেনে উঠে পড়েন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি হাসতে হাসতে বললেন, 'অনলাইনে দেখে ভাবলাম, এটা তো বেশ মজার! ট্রাই করতে ক্ষতি কী?'
অন্যদিকে, ৪৩ বছর বয়সী শেফ মিরিয়াম কোরিয়া এর মাধ্যমে নিজেকে ভালবাসার বার্তা দিতে চাইলেন। তিনি বললেন, একেকজন মানুষের শরীর একেক রকম। তাই কার চেহারা ভাল, কে মোটা, কে রোগা, তাই নিয়ে লজ্জা পাওয়ার কোনও মানেই হয় না। তিনি বলেন, 'আমি একজন নারী। আর আমার মতে এই বিশ্বে সবার শরীরই নিখুঁত।'
এর ইতিহাসটা জানুন
২০০২ সালে নিউ ইয়র্কে কৌতুকাভিনেতা চার্লি টড প্রথম এই কনসেপ্ট চালু করেন। শীতের দিনে মেট্রো যাত্রীদের ট্রাউজার্স ছাড়া ট্রেন যাত্রার এই ব্যাপারটা বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ধীরে ধীরে বার্লিন, প্রাগ, ওয়ারশ-সহ নানা শহরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
লন্ডনে ২০০৯ সাল থেকে এই রীতি চলে আসছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন আরও বেশি মানুষ এই বিষয়ে জানতে পেরেছেন ও অংশ নিচ্ছেন।
এই বিষয়ে আপনার কী মতামত? জানান কমেন্টে।
খবরটি ইংরাজিতে পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।