Advertisement

কোটিপতি মা রেখে গেলেন মাত্র ৭০ টাকা! মাথায় হাত ছেলের

কোটিপতি সম্পত্তির মালিক মা। তাঁর মৃত্যুর পরে ছেলে পেলেন সেই সম্পত্তির মাত্র ৭০ টাকা। আর কোটি টাকা ও বৃদ্ধা রেখে গিয়েছেন তাঁরই  নাতনির জন্য। সম্প্রতি এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ওই যুবতী জানান,তাঁর দিদা মৃত্যুর আগে সমস্ত সম্পত্তি (প্রায় দেড় কোটি টাকা) তাঁর নামে করে দিয়েছিলেন।

সম্পত্তির ভাগ থেকে হতবাক যুবক। প্রতীকী ছবিসম্পত্তির ভাগ থেকে হতবাক যুবক। প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 18 Jan 2022,
  • अपडेटेड 1:53 PM IST
  • কোটিপতি মা রেখে গেলেন মাত্র ৭০ টাকা!
  • মাথায় হাত ছেলের
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

কোটিপতি সম্পত্তির মালিক মা। তাঁর মৃত্যুর পরে ছেলে পেলেন সেই সম্পত্তির মাত্র ৭০ টাকা। আর কোটি টাকা ও বৃদ্ধা রেখে গিয়েছেন তাঁরই  নাতনির জন্য। সম্প্রতি এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ওই যুবতী জানান,তাঁর দিদা মৃত্যুর আগে সমস্ত সম্পত্তি (প্রায় দেড় কোটি টাকা) তাঁর নামে করে দিয়েছিলেন। তার বাবা বিষয়টি জানতে পেরে তাঁকে সম্পত্তিতে অংশ নিতে চাপ দিতে থাকে। মহিলাটি এই সম্পর্কে তাঁর গল্প রেডডিটে শেয়ার করেছেন।

মহিলা তাঁর নাম প্রকাশ না করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রেডিট-এ বলেছিলেন যে দিদা মারা যাওয়ার আগে তাঁর সমস্ত সম্পত্তি আমার নামে দিয়েছিলেন। দিদা তাঁর ছেলের (অর্থাৎ মহিলার বাবা) জন্য একটি ডলার (প্রায় ৭৪ টাকা) ছাড়া আর কিছুই রেখে যাননি।

'মিরর ইউকে'-এর মতে, ওই মহিলা জানিয়েছেন যে তাঁর বাবা অন্য মহিলার জন্য পরিবার ছেড়ে চলে যান। সে সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। মহিলার কথায়- "যখন আমার বয়স ১৩ বছর, আমার মা জানতে পারেন যে আমার বাবার একটি প্রেম ছিল এবং তিনি অন্য মহিলার সঙ্গে বসবাস করছেন। ওই মহিলা আবার গর্ভবতী ছিলেন। বাবা স্বীকার করেন যে তিনি অন্য মহিলার সঙ্গে প্রেম করছেন। এবং আমার মাকে ছেড়ে দিতে চান।" মায়ের কাছ থেকে বিচ্ছেদের পর, বাবা আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু অবশেষে তাঁর নতুন পরিবার বেশি কাছের হয়ে ওঠে এবং আমরা সমস্যায় থাকতে শুরু করি।  আমরা অন্য শহরে চলে যাই, সেখানে দাদু, দিদা এবং মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করি।

আরও পড়ুন

ওই নারী আরও বলেন, আমার দিদা ছিলেন আমার বাবার মা। তিনি আমাকে খুব ভালোবাসতেন এবং তাঁর ছেলের মনোভাব দেখে হতাশ হয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত গত বছর তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং পরে তিনি মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর ছেলের পরিবর্তে তার দুই হাজার ডলার (দেড় কোটি) সম্পত্তি আমাকে দিয়েছিলেন যাতে ভবিষ্যতে আমি কোনো আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন না হই। কিন্তু ওই যুবতীর বাবা বিষয়টি জানতে পেরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সম্পত্তিতে তাঁর অংশ চাইতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁর সন্তানরাও ওই যুবতীকে ফোন করে সম্পত্তি দাবি করতে থাকে। এতে তিনি খুব বিরক্ত হয়ে ওঠে। তবে তাঁ রবাবা পরে নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি ঋণের কারণে অনেক চাপের মধ্যে ছিলেন বলে জানান। ঋণ পরিশোধের জন্য তিনি সম্পত্তিতে অংশ চেয়েছিলেন। কিন্তু এখন সে আর চাপ দেবে না বলে জানান।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement