IPCC Alert for Kolkata: কিছু ক্ষণ টানা বৃষ্টি হলেই জলের তলায় ডুবে যায় কলকাতার রাজপথ। নিকাশি সমস্যা তো রয়েইছে মহানগরে। সেই সঙ্গে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় ক্রমেই নাকি বিপদ বাড়ছে শহরের। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় 'মিগজাউম'এর প্রভাবে বছর শেষে বানভাসি অবস্থা হয়েছে চেন্নাইয়ের। নানা সময়ে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ে এই শহরেও। আগামী দিনে চেন্নাইয়ের মতো হাল হবে না তো বাংলার রাজধানীর? এই আশঙ্কাই দানা বেঁধেছে।
'মিগজাউম'-এর দাপটে ডুবে গিয়েছে চেন্নাই। জলের কুমির ডাঙায় উঠে এসেছে! ডুবন্ত শহরের ছবি দেখে শিউরে উঠেছে দেশ। তবে শুধু চেন্নাই নয়, আগামী দিনে দেশের একাধিক শহরের হালও এমনটাই হতে পারে। যে তালিকায় রয়েছে কলকাতাও। ২০২১ সালে 'ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ' (আইপিসিসি)-এর রিপোর্টে তেমন সতর্কবাণীর কথাই তুলে ধরা হয়েছিল। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমেই বাড়ছে। আর এর ফলে শতাব্দীর শেষে দেশের ১২টি উপকূলবর্তী শহর ডুবতে পারে। শহরগুলির তালিকায় রয়েছে মুম্বই, চেন্নাই, কোচি, বিশাখাপত্তনমের নামও।
এই সব কিছুর নেপথ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন। ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের বৃদ্ধির কারণে বিপজ্জনক হতে পারে কলকাতা, মুম্বইয়ের মতো দেশের মেট্রো শহরগুলি। ইতিমধ্যেই প্রকৃতির এ হেন খামখেয়ালিপনার মাশুল গুনতে হচ্ছে বিভিন্ন শহরকে। পটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চ অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যানালিটিক্সের এক গবেষণাতেও এ হেন সতর্কের বার্তা দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রের নোনাজল ঢুকে পড়তে পারে। এর ফলে চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পাশাপাশি, ভূগর্ভস্থ জলের গুণগত মান খারাপ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। বাড়তে পারে জলবাহিত রোগের প্রকোপও।
জলবায়ু বদলের ফলে শুধুমাত্র উপকূলবর্তী শহরগুলিতেই যে প্লাবন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তেমনটা নয়। বিহার, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যগুলিও এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। এমনকী, কয়েক মাস আগে প্লাবিত হয়েছিল রাজধানীরও বিস্তীর্ণ এলাকা। যমুনার জলস্তর বেড়ে গিয়ে ভেসেছিল দিল্লির বিভিন্ন এলাকা। সেই স্মৃতিই উস্কে দিয়েছে ডিসেম্বরে চেন্নাইয়ের ডুবন্ত পরিস্থিতিকে। কিন্তু, শুধু চেন্নাই নয়, এখন বিপদে কলকাতা, মুম্বই-সহ দেশের বিভিন্ন শহর।