Advertisement

Viral News: রোজ ঢ্যাঁড়সের তরকারি কেন? মায়ের উপর রেগে বাড়ি ছেড়ে পালাল ছেলে, তারপর...

প্রতিদিনই ঢ়্যাঁড়সের তরকারি রান্না করে খাওয়াচ্ছে মা। বারবার বলা সত্ত্বেও একই তরকারি খেতে হচ্ছে রোজ রোজ। মা-এর উপর চটে লাল নাবালক হুলস্থুল কাণ্ড বাধালেন নাগপুরে। ঘটনাটি ঠিক কী?

প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • নাগপুর ,
  • 14 Jul 2025,
  • अपडेटेड 2:21 PM IST
  • প্রতিদিনই ঢ়্যাড়সের তরকারি রান্না করছে মা
  • মা-এর উপর চটে লাল নাবালক
  • বাধালেন হুলস্থুল কাণ্ড

ঢ়্যাঁড়স মোটে পছন্দ ছিল না ১৭ বছরের এক নাবলকের। তা সত্ত্বেও তার মা রোজ রোজ সেই ঢ়্যাঁড়স দিয়েই তরকারি রান্না করতেন। এই নিয়ে মা-এর সঙ্গে নিত্য ঝগড়া লেগে থাকত ছেলের। গত বৃহস্পতিবারও খাবারের পাতে ছিল সেই ঢ়্যাড়সের তরকারিই। বেজায় রেগে যায় ছেলে। তারপরই হুলস্থুল কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলে সে। 

ঘটনাটি নাগপুর শহরের। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও এবং ঢ়্যাড়সের প্রতি অনিচ্ছা দেখানো সত্ত্বেও মা সেই একই তরকারি খেতে দিয়েছিলেন ছেলেকে। চটে লাল ছেলে মা-এর সঙ্গে বচসা জুড়ে দেয়। রাগ করে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায় সে। কাউকে কিছু না বলে ১৭০০ কিলোমিটার দূরে দিল্লি চলে যায় সে। 

জানা গিয়েছে, ওই দিন রাত ১১টার সময়ে মা-এর সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল ছেলেটি। ট্রেনে চেপে পৌঁছে যায় সোজা দিল্লি।

এদিকে, ছেলে বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যান মা। খবর দেন পরিজনদের। সকলেই চতুর্দিকে খুঁজতে শুরু করেন তাকে। শেষ পর্যন্ত সন্ধান না পেয়েছে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় থানায়। 

জানা গিয়েছে, মানব পাচার বিরোধী টিম এবং পুলিশের যৌথ উদ্যোগে প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার দূরে দিল্লি থেকে উদ্ধার করা হয় ওই নাবালককে। এরপর উড়ান পথে তাকে নাগপুরে ফিরিয়ে আনা হয়। 

পুলিশ জানিয়েছে, ছেলেটি সম্প্রতি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং কলেজে ভর্তির চেষ্টা করছিল। সে মেধাবী হিসেবেই পরিচিত ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর, মানসিক সমস্যা ছিল তার। ঢ়্যাঁড়সের তরকারি রান্না নিয়ে প্রায়শই মা-এর সঙ্গে অশান্তি করত সে। প্রতিবেশীরাও অধিকাংশ দিন তাদের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পেত। গত ১০ জুলাইও মেনুতে ঢ়্যাড়সের তরকারি হওয়া মা ও ছেলের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায় সে। 

পুলিশ তদন্তে নেমে ছেলেটির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, তার ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে তাকে খুঁজে বের করে। 

Advertisement

এরপর ছেলেটির কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করে পুলিশ। যাতে আর কখনও এই ধরনের পদক্ষেপ না করে, তার জন্য সতর্ক করা হয়। একইসঙ্গে তার মা-কেও বোঝানো হয়, নাবালকের সঙ্গে স্পর্শকাতর ভাবে ব্যবহার করা উচিত। 
 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement