
ভারত আছে ভারতেই। কোনও ধর্মীয় ভেদাভেদই ভারতবাসীকে আলাদা করে দিতে পারবে না। আর সেই কথাটা আরও একবার প্রমাণ হল মধ্যপ্রদেশে। এই রাজ্যের বিতুলে বৃন্দাবনের বিখ্যাত প্রেমানন্দ মহারাজের স্বাস্থ্যের উন্নতি চেয়ে দোয়া চাইছেন মুসলমান সম্প্রদায়ের কিছু যুবক। তাঁরা পহলবান বাবার দরগায় চাদর চড়ালেন প্রেমানন্দ মহারাজের স্বাস্থ্যের উন্নতি চেয়ে। আর এই ঘটনাই আরও একবার দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চিত্র তুলে ধরল।
বৃহস্পতিবার যান তাঁরা
বৃহস্পতিবার পহলবান বাবার দরগায় পৌঁছে যান কিছু যুবক। তাঁদের হাতে ছিল প্রেমানন্দ মহারাজের ছবি। তাঁরা মহারাজ যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেই প্রার্থনা করেন। তাঁরা দরগায় চাদর ও ফুল দেন। আর এই সবকিছুই করেন প্রেমানন্দ মহারাজের স্বাস্থ্যের উন্নতি চেয়ে।
কী বলেন তাঁরা?
শেখ সলিম এবং শারিক খান জানান, মানবিকতাই সবার আগে। যখন এই মাপের কোনও সাধুর শরীর খারাপ হয়, তখন সকলেই উচিত তাঁর জন্য প্রার্থনা করা। এটাই মানবিকতার পরিচয়।
কী হয়েছে প্রেমানন্দ মহারাজের?
আসলে প্রেমানন্দ মহারাজ ভুগছেন পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজে। আর এটি একটি মারাত্মক অসুখ। এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের হাল বেহাল হয়ে পড়ে। কিডনি নিজের কাজ করার ক্ষমতা হারায়। আর এমনটাই ঘটে প্রেমানন্দ মহারাজের সঙ্গে। তাঁর কিডনিও কাজ করা কমিয়ে দেয়। যার ফলে শুরু হয় ডায়ালিসিস। তাঁকে নিয়মিত ডায়ালিসিস নিতে হয়। কিন্তু সেটা নিয়মিত নেওয়ার পরই তাঁর শরীর আবার খারাপ হয়। যার ফলে তাঁর অগণিত ভক্তের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়ে। সকলেই বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। পাশাপাশি সকলেই চাইছেন তিনি দ্রুত সেরে উঠুন।
আর সেই প্রার্থনাতেই অংশগ্রহণ করলেন কিছু মুসলিম যুবক। তাঁরা হাতে প্রেমানন্দ মহারাজের ছবি নিয়ে দরগায় প্রবেশ করলেন। চাইলেন দোয়া।
এই ঘটনা দেখেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে নজরুল, রবীন্দ্রনাথের ভারত এখনও বদলায়নি। এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছিল, আছে, আর থাকবে। এই দুই সম্প্রদায় দুই ভাইয়ের মতো করেই চলবে। যার ফলে এগিয়ে যাবে ভারত।