
ভাগ্য বদলাতে সময় লাগে না। এমনই কিছু ঘটেছে এক প্লাম্বারের সঙ্গে। আসলে, প্লাম্বার হিসাবে কাজ করা এই ব্যক্তি এক সংগীত প্রযোজকের বাড়িতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। বাড়ির বাথরুমে কাজ করার সময় প্লাম্বার গান গাইছিলেন।
এক সঙ্গীত প্রযোজক তার গানে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তিনি ওই প্লাম্বারকে দিয়ে একটি গান রেকর্ড করানোর ঘোষণাও করে দেন। এখন হলিউডের একজন নির্মাতাও প্লাম্বারের এই গল্প নিয়ে সিনেমা বানানোর ঘোষণা দিয়েছেন। ভারতীয় গায়িকা রানু মণ্ডলের ভাগ্যও বদলে গিয়েছিল রাতারাতি। আগে তিনিও স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে গান গাইতেন।
'দ্য মিরর'-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ওই প্লাম্বারের নাম কেভ ক্রেন (Kev Crane), যিনি ইংল্যান্ডের লেস্টারশায়ার থেকে এসেছেন। পঞ্চাশ বছর বয়সি কেভ অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করেন। যখন কেভ সঙ্গীত প্রযোজক পল কোনেলির সঙ্গে একটি গান রেকর্ড করেন তখনই নিতি মিডিয়ার নজরে আসেন।
কনলি (Paul Conneally) প্রথম কেভকে গান গাইতে শুনেছিলেন যখন কেভ তার বাথরুম মেরামত করছিল। প্লাম্বার থেকে গায়ক এবং তারপর হলিউড ফিল্ম, কেভ ক্রেনের (Kev Crane) এই উত্থান খুবই আকর্ষণীয়! এক কথায় ‘ফিল্মি’।
প্লাম্বার হিসাবে কাজ করার সময়, কেভ গান লেখার কাজও করছিলেন। এদিকে, পল কনলি (Paul Conneally) তার গান শুনে তার সঙ্গে একটি গানের চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং কিছু দিন পরে তার মিউজিক অ্যালবাম ‘Why Can't I Be You?’ রিলিজ করে।
মিউজিক অ্যালবাম লঞ্চের পর কেভ ক্রেনের গল্প জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মানুষ তার গান খুব পছন্দ করে। সম্প্রতি, লস অ্যাঞ্জেলেস-ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাতা স্টেসি শেরম্যান (Stacy Sherman) এবং আমেরিকান চিত্রনাট্যকার এবং প্রযোজক বিলি রে (Billy Ray) তার কাছে গিয়েছিলেন। তাঁরা কেভের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, যে চুক্তি অনুসারে কেভ ক্রেনের (Kev Crane) গল্পটি শীঘ্রই বড় পর্দায় (হলিউড) দেখানো হবে।