Rajesh Rawani Net Worth: ইউটিউবে বেশ জনপ্রিয় নাম রাজেশ রাওয়ানি। গত ২৫ বছর ধরে ট্রাক চালাচ্ছেন এই পপুলার ইউটিউবার। একজন ট্রাক ড্রাইভারের কষ্টের জীবন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া, সেখানকার খাওয়াদাওয়া, জীবনযাত্রা তুলে ধরাই তাঁর চ্যানেলের মূল বিষয়। আর তাঁর এই অভিনব ভিডিও-র কায়দাই তাঁকে 'ভাইরাল' করে তুলেছে। ঝাড়খণ্ডের জামতারার এই ট্রাক ড্রাইভার-ইউটিউবারের চ্যানেলে প্রায় ১.৮৬ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। আর এই ইউটিউবের মাধ্যমেই তিনি এখন লাখ-লাখ টাকা আয় করছেন। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, ট্রাক চালানোর থেকে অনেক বেশি টাকা তিনি এই ইউটিউব থেকেই আয় করেন।
সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কান্নানের সঙ্গে একটি পডকাস্টে যোগ দিয়েছিলেন রাজেশ রাওয়ানি। সেখানে ইউটিউব থেকে তাঁর আয়, বাড়ি তৈরির স্বপ্নপূরণ নিয়ে কথা বলেন। জীবনের স্ট্রাগেলের বিষয়েও জানান তিনি।
রাজেশ জানান, একবার এক দুর্ঘটনায় তাঁর হাতে গুরুতর আঘাত লেগেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি ট্রাক চালানোর পেশা ছাড়াননি। রাজেশ জানিয়েছেন, পরিবারের কথা ভেবে, বাড়ি তৈরির টাকা জোগাতে তিনি অনেক কষ্ট সত্ত্বেও ট্রাক চালাতে থাকেন। তিনি জানান, যতদিন পারবেন, হাতে যতদিন সামান্য জোরও থাকবে, তিনি ট্রাক চালিয়ে যাবেন।
জনপ্রিয় ইউটিউবারের আয়
সিদ্ধার্থ কান্নান জানান, রাজেশ ট্রাক চালিয়ে মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করেন। ইউটিউব থেকে তিনি যদিও অনেক বেশি টাকা আয় করেন। ইউটিউব চ্যানেল থেকে তিনি মাসে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা গড়ে আয় করেন। অ্যাড রেভেনিউয়ের টাকা যদিও ভিউয়ের উপর নির্ভর করে। তাঁর এক মাসের সর্বাধিক আয় ছিল ১০ লক্ষ টাকা।
কীভাবে ইউটিউব চ্যানেল দাঁড় করালেন?
রাজেশ জানান, 'আমি ভয়েসওভার দিয়ে একটি ভিডিও বানিয়েছিলাম। সবাই আমাকে মুখ দেখাতে বলছিল। তখন আমার মুখ দেখিয়ে আমার ছেলে একটি ভিডিও বানায়। তাতে আমার একদিনেই ৪.৫ লাখ ভিউ হয়।' সেটাই ছিল রাজেশের প্রথম ভাইরাল ভিডিও।
তিনি জানান, তাঁর পরিবার, ছেলের সাহায্যেই ইউটিউবটা দাঁড় করাতে পেরেছেন। তিনি ভিডিও করেন, আর টেকনিক্যাল ব্যাপারটা পুরোটা তাঁর ছেলে দেখেন।
রাজেশ জানান, ঝাড়খণ্ডেই তাঁর জন্ম। ছোটবেলা সেখানেই কেটেছে। তাঁর বাবাও ড্রাইভার ছিলেন। পাঁচজনের পরিবার চালাতেন। প্রতি মাসে সংসার খরচের জন্য ৫০০ টাকা করে পাঠাতেন।
তিনি জানান, সেই সময় অনেক আর্থিক অনটন দেখেছেন। প্রায়শই সংসার টানতে অন্যের কাছে ধার চেয়ে হাত পাততে হত। সেখান থেকে এতদিন স্ট্রাগেল করে আজ তিনি এই জায়গায় পৌঁছেছেন।