'Rawdogging সাইলেন্সে বসে এই প্রতিবেদন লিখছি।' ভাবছেন এ আবার কী শব্দ? এ শব্দের অর্থই বা কী? Gen Z-র কাছে এ শব্দ অতি পরিচিত। ফেসবুক-ইনস্টায় স্ক্রল করলেই আজকাল শোনা যাচ্ছে 'Rawdogging' শব্দটি। 'কেউ বলছেন Rawdogging সাইলেন্সে বসে আছি।' আবার কারও কথায়, 'Rawdogging-এ বসে বসে বড্ড বোর হচ্ছি।' কেসটা কী?
কী এই Rawdogging?
'Rawdogging' শব্দটি জেন জি টার্মিনোলজির মধ্যে নবতম সংযোজন। এই শব্দটি আসলে একটি অশ্লীল গালি। তবে তরুণ প্রজন্ম, বিশেষত জেন জি-দের জন্য এই 'Rawdogging' শব্দটির অর্থ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে। পূর্বে 'Rawdogging' শব্দটি ব্যবহার করা হতো, বিনা কন্ডোমে যৌন সঙ্গম করা বোঝাতে। তবে বর্তমানে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে সম্পূর্ণ অন্য ভাবে।
এই শব্দের ব্যবহার কেন?
কোনও কাজ না করে, শান্ত ভাবে একটানা অনেকক্ষণ বসে থাকার চ্যালেঞ্জ গ্রহণকেই 'Rawdogging in Silence' বলছেন জেন জি-রা। না ফোন, না গান, না সোশ্যাল মিডিয়া। সব কিছু ছেড়ে চুপচাপ কিছুক্ষণ বসে থাকাই হল জেন জি-র কাছে 'Rawdogging'।
উৎপত্তি
২০২০ সালে লকডাউন এবং কোভিড অতিমারীর সময়েই এই 'Rawdogging' শব্দটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। প্রথমে উড়ান যাত্রার সময়ে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস ছাড়া সময় কাটানোকে 'Rawdogging in Flight' বলা হতো। হেডফোন ছাড়া, কোনও বই না পড়ে, চুপচাপ বিমানে চেপে গন্তব্যে পৌঁছনো পর্যন্ত সময়টিকেই 'Rawdogging' বলা হচ্ছিল।
বর্তমান ব্যবহার
এবার শুরু হয়েছে নয়া সোশ্যাল মিডিয়া চ্যালেঞ্জ। যাকে বলা হচ্ছে, 'Rawdogging in Silence Challenge'। যা মাথার ফোকাস পোক্ত করার একটি এক্সপেরিমেন্ট মনে করা হচ্ছে। 'Rawdogging in Silence' চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে মানুষ চুপচাপ একটি নিরিবিলি জায়গায় বসে ফোকাস করছেন। সঙ্গে নিচ্ছেন না মোবাইল ফোন বা কোনও বই কিংবা হেডফোন।
কে প্রথম এই চ্যালেঞ্জ নেন?
ইউটিউব ক্রিয়েটর রবার্ট সর্বপ্রথম 'Rawdogging in Silence' চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, 'প্রথম ১০ থেকে ১৫ মিনিট খুব অস্বস্তি হচ্ছিল। কিন্তু তারপর ধীরে ধীরে মস্তিষ্ক শান্ত হয়ে যায়।' তাঁর ফোকাস আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে বলেই জানিয়েছেন ওই কনটেন্ট ক্রিয়েটর। অনেকেই বলছেন, শুনতে আজব লাগলেও এটি আসলে এক ধরনের ডিজিটাল ডিটক্স। মাথা ঠান্ডা করা, ফোকাস আনা এবং স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হওয়ার জন্যই এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছেন নেটিজেনরা। জেন জি-রা এই 'Rawdogging in Silence' বিষয়টিকে তাদের ভাষায় কুল মনে করলেও আদতে এটি মানুষকে ডিজিটাল দুনিয়া থেকে ডিটক্স করছে এবং কিছুটা হলেও ফোকাস ফেরাতে ও মনযোগী করে তুলতে সাহায্য করছে।