উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর বাসিন্দা কুসুমাবতী দেবী বয়সের শেষ পর্যায়ে, কিন্তু তার দক্ষতা আজও দারুণ আলোচনায়। কুসুমাবতী দেবীর বয়স ৭৫ বছর এবং তিনি প্রতিদিন এক থেকে আধা কেজি বালি খান। তাঁর মতে, ১৮ বছর বয়সে চিকিৎসকের নির্দেশে কান্দের রাখি খাওয়া শুরু করেন যা ধীরে ধীরে বালিতে পরিণত হয়।
কুসুমাবতী দেবীর কাছে বালি খাওয়া নিত্যদিনের রুটিনে পরিণত হয়েছে। সকালের ব্রেকফাস্ট না করলেও, তিনি অবশ্যই সময়মতো বালি খান এবং তাও আবার গঙ্গার বালি, যার জন্য তার নাতিরা ব্যবস্থা করে এবং ধুয়ে দিয়ে খাওয়ার যোগ্য করে তোলে। কুসুমাবতীদেবী শুধু গ্রামের জন্যই বিস্ময় নয়, তার কঠোর পরিশ্রম এবং স্বাস্থ্যের জন্যও পরিচিত।
কুসুমাবতী দেবী একটি মুরগির খামার চালান এবং খামারের একটি ছোট অংশে বাড়ি তৈরি করে জীবনযাপন করেন। কুসুমাবতীর দুই পুত্র রয়েছে, যাদের তিন সন্তান। একটি পূর্ণ পরিবার আছে কিন্তু তার জেদ এবং কঠোর পরিশ্রমের কারণে, কিনি একটি আলাদা বাড়িতে থাকেন এবং বালি খান। গ্রামের লোকজন জানান, তিনি কখন থেকে বালু খাচ্ছেন তা তাদের জানা নেই।
গত ৪০-৪৫ বছর ধরে কুসুমাবতী দেবীদিনে তিনবার বালি খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। বালি খাওয়ার অভ্যাসের কারণে, কুসুমাবতী দেবী শুধু পরিচিতই নন, সারা অঞ্চলে বিখ্যা।
আমরা সবাই জানি যে নুড়ির দানা মুখে পড়লে পুরো খাবারই খারাপ হয়ে যায়, কিন্তু কুসুমাবতী দেবী বলেন, বালি না খেলে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হবে। আজ পরিস্থিতি এমন যে দিনে দিনে তার বালি খাওয়ার গতি ও পরিমাণ বাড়ছে।