মন ভালো করার জন্য হোক, বা শুধুই বিনোদন বা টাইম পাস, সবার জীবনেই এখন সোশ্যাল মিডিয়া অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে। এখন কোনও কিছুই বেশিদিন চলে না। আজ যেটা নিয়ে মানুষ হই হই করছে, কালই হয়ত তার আর কোনও প্রাসঙ্গিকতা থাকবে না। ভাইরাল কন্টেন্ট চলছেই। ২০২৩ সালে ভারতীয়দের কাছে এরকমই কিছু মজার ঘটনা বা বিতর্কিত ঘটনা অথবা মন কারা ভিডিও ভাইরাল হয়ে ওঠে। ২০২৩ সালের শেষ লগ্নে দেখে নেওয়া যাক এই বছরের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল কোন কোন ঘটনা।
নাটু নাটু
বিশ্ব দরবারে বিশেষ সম্মান পেয়েছে নাটু নাটু গান। জিতে নিয়েছে অস্কার । এই গান আট থেকে আশি, প্রত্যেকের মুখেই শোনা গিয়েছিল। খেলার মাঠ থেকে, রাজনীতির মঞ্চ কিংবা পুজোর থিম সং- সর্বত্রই ছড়িয়ে ছিল ‘নাটু নাটু’ ম্যাজিক।
জাস্ট লুকিং লাইক এ ওয়াও
'সো বিউটিফুল সো এলিগেন্ট জাস্ট লুকিং লাইক এ ওয়াও'। স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এমন খুব কম মানুষই এই শব্দগুলি শোনেন নি। অনলাইনের যুগে নিজেদের ব্যবসার প্রচারের জন্য অনেকেই কাজে লাগান সোশাল মিডিয়াকে। আর সেই প্রচারে এবছরের তালিকার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিলেন জসমিন কৌর। সোশাল প্ল্যাটফর্মে নিজের পোশাকের ব্যবসার প্রচারে তিনি বলেছিলেন, “সো বিউটিফুল, সো এলিগ্যান্ট, জাস্ট লুকিং লাইক আ ওয়াও।” তাঁর বলার ধরন মানুষের এতই পছন্দ হয় যে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর সেই নিয়ে তৈরী হয় একাধিক গানও। সেই গানে আবার রিল বানিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে ছাড়তে থাকেন সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষরাও।
মেট্রোর বিকিনি গার্ল
চলতি বছরের একটি বিতর্কিত ঘটনার মধ্যে দিল্লি মেট্রোয় বিকিনি কাণ্ড একটি। যা নিয়ে বছরভর চর্চায় ছিল দিল্লি মেট্রো। রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেতে মেট্রোয় উঠে নানারকম ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দেখা যায় তরুণ প্রজন্মদের। তবে বাকিদের ছাপিয়ে গিয়েছিলেন এক তরুণী। যিনি সামান্য কাপড়ে গোপনাঙ্গ আবৃত করে রেখে শোরগোল ফেলে দেন। চোখের পলকে সোশ্যাল মাধ্যম থেকে খবরে হয়ে পরে সেই দিল্লি মেট্রোর ভাইরাল ভিডিও।
পছন্দের সাবজেক্ট
' স্কুলে তোমার পছন্দের সাবজেক্ট কী? সাংবাদিকের প্রশ্নে ছাত্র বলে উঠল, ‘বেগুন’! এহেন ভিডিও দেখে হেসে খুন নেটিজেনরা। এখানেই শেষ নয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম জিজ্ঞেস করা হলে ওই ছাত্র বলে, “মোদী সরকার।” কিশোরের কথাবার্তা শুনে তাজ্জব প্রত্যেকেই।
গোতিলো খালাসি
নবরাত্রি উপলক্ষে কোক স্টুডিওর ‘গোতিলো খালাসি গান’ গান হইচই ফেলে দেয় সোশাল মিডিয়ায়। ইনস্টাগ্রাম রিল থেকে ডিস্কো, সব জায়গাতেই এই গানে কোমর দুলিয়েছেন প্রত্যেকে। গুজরাটি গানটির জন্য গায়ক অদিত্য গাদভির প্রশংসা করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
মোয়ে মোয়ে
বছরের শেষ দিকে হঠাৎই মানুষের মুখে মুখে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ‘মোয়ে মোয়ে’। বর্তমানে চলতে ফিরতে তরুণদের মুখে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সব জায়গাতেই ছড়িয়ে 'মোয়ে মোয়ে'। যদিও ইউটিউবে গানটি রয়েছে Dzanum নামে। ৩ মিনিটের গান গেয়েছেন সার্বিয়ান গায়িকা ‘টেয়া ডোরা’। সার্বিয়ান ভাষায় ‘মোয়ে মোয়ে’ শব্দের অর্থ দুঃস্বপ্ন। অবসাদ, মনখারাপ, দুঃখ, কষ্ট ইত্যাদির কথা ঘুরে ফিরে এসেছে গানের কথায়।
জামাল কুদু
এই গানেই সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক রিল তৈরি হয়েছে। ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে ববি দেওলের এন্ট্রি সং নিমেষে ভাইরাল হয়েছিল। এটি ইরানের এক জনপ্রিয় গান। মূলত, বিয়ের অনুষ্ঠানেই এই গান গাওয়া হয়।
মোদির এআই
ডিপফেকের জাল থেকে রক্ষা পাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছিল গরবা নাচছেন তিনি। পরে জানা যায়, ভিডিওটি জাল। এআই প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছিল ভিডিওটি। এছাড়াও দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর গলা নকল করে নানান জনপ্রিয় গান। আর সেইসব গান মুহূর্তের মধ্যে ভাইরালও হয়।