Advertisement

Agro Success Story: প্রাইভেট চাকরি ছেড়ে মাশরুম চাষ করে সফল, লাখ-লাখ টাকা আয় যুবকের

প্রাইভেট চাকরি ছেড়ে মাশরুম চাষ। আর তাই করেই দারুণ সফল হলেন এক যুবক। মাশরুম ফলিয়েই লাখ টাকা আয় করছেন হরিয়ানার কর্নাল জেলার বলবিন্দ্র সিং।

ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কার্নাল,
  • 06 Mar 2024,
  • अपडेटेड 6:49 PM IST
  • প্রাইভেট চাকরি ছেড়ে মাশরুম চাষ। আর তাই করেই দারুণ সফল হলেন এক যুবক।
  • মাশরুম ফলিয়েই লাখ টাকা আয় করছেন হরিয়ানার কর্নাল জেলার বলবিন্দ্র সিং। প্রাইভেট চাকরি ছেড়ে মাশরুম চাষ শুরু করেছিলেন তিনি।
  • প্রথম প্রথম কষ্ট হলেও, এখন তাঁর আয় বেশ ভাল। নিজের আয় তো সুনিশ্চিত করেছেনই, তাঁর ফার্মে এখন বহু কর্মী কাজও করছেন।

প্রাইভেট চাকরি ছেড়ে মাশরুম চাষ। আর তাই করেই দারুণ সফল হলেন এক যুবক। মাশরুম ফলিয়েই লাখ টাকা আয় করছেন হরিয়ানার কার্নাল জেলার বলবিন্দ্র সিং। প্রাইভেট চাকরি ছেড়ে মাশরুম চাষ শুরু করেছিলেন তিনি। প্রথম প্রথম কষ্ট হলেও, এখন তাঁর আয় বেশ ভাল। নিজের আয় তো সুনিশ্চিত করেছেনই, তাঁর ফার্মে এখন বহু কর্মী কাজও করছেন। ফলে আরও কয়েকটি পরিবারের কর্মসংস্থান করেছেন বলবিন্দ্র।

বলবিন্দ্র জানিয়েছেন, মাত্র দেড় একর থেকেই লাখ-লাখ টাকা আয় করছেন। প্রায় ২০ জন কাজ করেন তাঁর ফার্মে। প্রথমে ছোট স্কেলে অল্প কয়েকজন নিয়েই মাশরুম চাষ শুরু করেছিলেন। তবে মাশরুম চাষের পরিধি যত বেড়ছে, মুনাফাও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। এক সময়ে প্রাইভেট চাকরি ছেড়ে চাষ করা নিয়ে তাঁকে অনেক কথাই শুনতে হয়েছে। তবে সফল হওয়ার পর, তিনিই এখন আশেপাশের গ্রামের যুবকদের অনুপ্রেরণার হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

ক্রমেই বাড়ছে মাশরুম চাষের প্রবণতা



অনেকেই গ্রাম থেকে বহু দূরের শহরে গিয়ে, সেখানে কষ্ট করে ভাড়া থেকে কম বেতনের বেসরকারি চাকরি করছেন। তাঁদেরকে পারিবারিক জমি কাজে লাগানোর নয়া দিশা দেখাচ্ছেন বলবিন্দ্র। তাঁর দেখাদেখি আরও অনেকে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজের পরিকল্পনা করছেন।

বলবিন্দ্র জানান, এক সময়ে তিনি একটি বড় হোটেলে চাকরি করতেন। কিন্তু তাঁর মন পড়ে থাকত কৃষিকাজে। কিন্তু চাকরি ছেড়ে দিয়ে এমন কোন কৃষিকাজ করা যায়, তা ঠিক করে উঠতে পারছিলেন না। এমন সময়েই মাশরুম চাষের বিষয়ে তাঁর আগ্রহ জন্মায়। আধুনিক বৈজ্ঞানিক কৃষিতে, অনেক ছোট জমিতেও, কম খাটনিতে এবং ঋতু-আবহাওয়ার প্রভাব ছাড়াই মাশরুম চাষ করা সম্ভব। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখেই তিনি মাশরুম চাষ শুরু করেন।

মাশরুম সাধারণত খোলা আকাশের নিচে চাষ করা যায় না। lতাই প্রথমেই একটি অস্থায়ী শেড তৈরি করেন। সেখানেই পরীক্ষামূলকভাবে ছোট স্কেলে চাষ শুরু করেন। এরপর কিছুটা ধাতস্থ হয়ে যান। ভাল চাষ এবং আয় শুরু হতেই স্থায়ী শেড স্থাপন করেন।

তিনি জানান, স্থায়ী শেড স্থাপনের জন্য সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ ভর্তুকি পেয়েছেন। বর্তমানে তাঁর মাশরুম ফার্মে প্রায় ২০ জন কাজ করেন। বলবিন্দ্র জানালেন, সঠিকভাবে মাশরুম চাষ করলে খরচের দ্বিগুণ টাকা মুনাফা হয়।

মুনাফার হিসাব
বলবিন্দ্র জানান, আগে তিনি দেড় একর জমিতে চাষ করতেন।  এক ব্যাচ চাষ করতে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়। এদিকে মাশরুম বিক্রি করেন তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকায়। তিনি বলেন, 'সবকিছু নির্ভর করছে বাজারদরের ওপর। প্রথম দিকে মাশরুম বিক্রিতে অসুবিধা হলেও ধীরে ধীরে বাজার তৈরি হয়। এ ছাড়া আমরা জম্মু ও কাশ্মীরে মাশরুম পাঠাই। ওখানে ভাল দাম পাই। মাশরুম চাষের এক মাস পরই মাশরুম তোলার জন্য তৈরি হয়ে যায়।

প্রায় ৬ বছর ধরে মাশরুম চাষ করছেন বলবিন্দ্র। তিনি জানালেন, নবীন প্রজন্মের কৃষকরা মাশরুমের মতো ভিন্ন ধারার কৃষিতে আরও এগিয়ে আসুন, সেটাই তিনি।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement