দার্জিলিং এর একটি ছোট্ট গ্রাম শ্রীখোলা। তথাকথিত পর্যটনকেন্দ্র নয়, তবে শ্রীখোলা যারা একবার গিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের মনের মণিকোঠায় চিরদিনের জন্য বাঁচিয়ে রাখবেন কিছু ফ্রেম। যা জন্ম জন্মান্তরেও ভোলা যাবে না। সান্দাকফু-ফালুট ট্রেকিং করতে যারা যান, তাঁদের পথে পড়বে শ্রীখোলা। রিম্বিক থেকে খুব কাছে, তবু মিনিট পনেরোর রাস্তা। দার্জিলিং থেকে যেতে হলে কমপক্ষে ছ'ঘন্টা লাগবে। এটি দার্জিলিং জেলার উচ্চতম স্থানগুলির মধ্যে একটি। ইন্টারনেট নেই, মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, ইলেকট্রিসিটি পর্যন্ত নেই। যদি কয়েকদিন এমন পরিবেশে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে, তাহলে একবার ঘুরে আসতে পারেন শ্রীখোলায়। সঙ্গে বাড়তি পাওনা রডোডেনড্রনের ওয়াইন আর চমরি গাইয়ের মাংস।
পর্যটকদের নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা একটি ছোট্ট জনপদ
দার্জিলিং এর একটি ছোট্ট গ্রাম শ্রীখোলা। সেখানে সচরাচর পর্যটকরা যান না। তবে যারা সান্দাকফু-ফালুট ট্রেকিং করতে যান, তাঁরা শ্রীখোলার সৌন্দর্য সম্পর্কে অবহিত। যদিও শ্রীখোলা আপনার প্ল্যানে না থাকে, তাহলে সামান্য সময়ের জন্য থমকে দাঁড়াতেই হবে। এখানে অতিথিদের স্বাগত জানায় সুন্দর শ্রীখোলা নদী। তার উপর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে দুশো বছরের ঝুলন্ত ব্রিজ। সবুজে ঘেরা এই গ্রামে ক্ষণিকের বিশ্রাম বুকভরে অক্সিজেন নেওয়ার জন্যই এখানে কয়েকটা দিন কাটিয়ে দেওয়া যায়।
সভ্য জগত থেকে বিচ্ছিন্ন
এখানে মোবাইল টাওয়ার ধরে না। ইলেকট্রিসিটি নেই। ফলে ক্যামেরা বা মোবাইল চার্জ দেওয়া যায় না। রাতেও ঘরে থাকবে সামান্য পাওয়ারের আলো। তাই এই অসুবিধাগুলি সহ্য করতে পারলেই এখানে আসুন। তবে নিজেকে আদমি প্রকৃতির কাছাকাছি মনে হবে। খুব কাছেই নেপাল। তাই আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ধরে নেয় চার্জ থাকলে।
খাবারও খুব সাধারণ কিন্তু চমক আছে
এখানে খাবারের ভ্যারাইটি পাবেন না। নিরামিষ খাবারই পাবেন। সঙ্গে করে চিকেন, মাটন নিয়ে গেলে তা রেঁধে দেবেন তাঁরা। যা পাবেন তা একটু খরুচে। প্রত্যন্ত এলাকা বলে সেটুকু গা সয়ে যাবে। তবে কখনও কখনও চমরি গাইয়ের মাংস পাওয়া যায়। আর পাবেন রডোডেনড্রন দিয়ে তৈরি ওয়াইন। এটা মিস করবেন না।
কীভাবে যাবেন?
গাড়ি ভাড়া নিয়ে যাওয়া যায় শিলিগুড়ি, দার্জিলিং থেকে। এমনিতে রিম্বিক পর্যন্ত গাড়ি মেলে রুটের শেয়ার ট্যাক্সি। যদিও সংখ্যায় কম। তবে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সরাসরি শ্রীখোলায় যাওয়া যায়। দার্জিলিং থেকে যাত্রাপথ ৫ থেকে ৬ ঘন্টা। রিম্বিক থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। সকাল ৭ টায় দার্জিলিং বাসস্ট্যান্ড থেকে রিম্বিক যাওয়ার বাস ছাড়ে।
কোথায় থাকবেন?
শ্রীখোলা নদীর উপরে জিটিএ-র লজ রয়েছে৷ আগে থেকে সেখানে ঘর বা ডরমিটরি বুক করে যেতে পারেন ৷ এছাড়াও দুটি হোটেল ও লজ আছে। এগুলি শিলিগুড়ি, কলকাতা থেকে বুক করতে পারবেন। টুরিজম দফতরের ওয়েবসাইট থেকেও বুকিং করা যায়।