টাকার লোভে তরুণকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ায় শ্রীঘরে শাসক দলের দুই কর্মী সহ ৩ জন। ঘটনার অভিযোগ নিউ জলপাইগুড়ি থানায় জমা হতেই ঘটনা তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনার পর শহরের নিন্দার ঝড় ওঠে। শুক্রবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হবে। পুলিশ সমস্ত ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা হল রতন পাল ওরফে (বাবু), তপন দাস, রাজা সিং পেশায় (টোটো চালক)। তিন জনই ভারতনগরের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, ১৩ তারিখ থেকে নিখোঁজ হয় ওই তরুণ, এরপর ১৪ তারিখ নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করতে নিউ জলপাইগুড়ি থানায় আসে নিখোঁজ তরুণের পরিবারের সদস্যরা। ঠিক সেই সময় মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করে তৃণমূল নেতা ও তার সহযোগীরা।
অপহরণকারীদের ফোন পেয়ে ভয়ে বাড়ি ফিরে যান তারা। এরপর ফের ১৫ জানুয়ারি সম্পূর্ণ ঘটনা জানিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণের পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার সকালে রতন পাল সহ তিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ জানতে পারে যে অপহৃত ওই তরুণকে দেশবন্ধুপাড়ার কোন একটি বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। অভিযুক্তদের বয়ান মোতাবেক এদিন বিকেলে অপহৃত ওই তরুনকে উদ্ধার করে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণ শিলিগুড়ির ২৪ নং ওয়ার্ডে রতন পালের ক্যাফেতে প্রায় যেতেন। হঠাৎ ওই তরুণকে অপহরন করার ফন্দি করে রতন, তপন ও তার সাথী। মূলত টাকার লোভেই অপহরণ করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
এ বিষয়ে ২৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী প্রত্যুল চক্রবর্তী বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। দোষী হলে শাস্তি পেতেই হবে। জেলা স্তরে যুব নেতা ছিল, দলীয় স্তরে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।