Advertisement

মায়ের ধর্ষকদের চিনিয়ে দিল ৮ বছরের মেয়ে, বীরভূমে মামলায় নজির

একরত্তি মেয়ে দেখেছিল মায়ের উপর চারজনের পাশবিক অত্যাচার। সেই ৮ বছরের মেয়ের সাক্ষীতে বৃহস্পতিবার চারজন ধর্ষণকারীকে ২০ বছর সশ্রম কারাদন্ড দিল বোলপুর মহকুমা আদালত। এমনকী আদালত রাজ্যকে নির্দেশ দিল নির্যাতিতাকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার। 

প্রতীকী ছবিপ্রতীকী ছবি
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়
  • বীরভূম,
  • 20 Jan 2022,
  • अपडेटेड 3:27 PM IST
  • তিন বছর পরহ মামলার নিষ্পত্তি
  • মেয়েই সাক্ষী দিল মায়ের ধর্ষকদের বিরুদ্ধে
  • ২০ বছরের কারাদণ্ড অভিযুক্তদের

৮ বছরের প্রত্যক্ষদর্শী ছোট্ট মেয়ে দেখেছিল মায়ের উপর চার পশুর অত্যাচার। সেই মেয়ের সাক্ষীতে বৃহস্পতিবার চারজন ধর্ষনকারীকে ২০ বছর সশ্রম কারাদন্ড দিল বোলপুর মহকুমা আদালত। এমনকী আদালত রাজ্যকে নির্দেশ দিল নির্যাতিতাকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার। 

৩ বছরে মামলার নিষ্পত্তি

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি ইলামবাজার থানার ধল্লা পঞ্চায়েতের ফুলডাঙা গ্রামে একটি গনধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই দিন গ্রামে সরস্বতী পুজো ছিল। অভিযোগ নির্যাতিতা রবিনী মাড্ডি (২৬) তার দুই নাবালিকা মেয়ে নিয়ে বাড়িতে শুয়েছিলেন। তার স্বামী বাড়িতে ছিল না। এই সুযোগে ফুলডাঙা গ্রামের চার যুবক শুকু হেমরম, সরকার  মাড্ডি, মন্ত্রী কিসকু, রবি বেসরা  রবিনীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পাশের জঙ্গলে। সেখানে পরপর তারা তাঁকে ধর্ষণ করে। সে চিৎকার করলেও সেই সময় সরস্বতীর পুজোর জন্য ডিজে বাজার কারণে কেউ শুনতে পায়নি। তবে গোটা ঘটনার সাক্ষী ছিল নির্যাতিতার ৮ বছরের মেয়ে।

আরও পড়ুন

২৪ ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার হলেও সাক্ষ্যপ্রমাণে দেরি

এদিকে ৩০ তারিখে ইলামবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ ওই দিন চার জনকে গ্রেফতার করে। 
সরকারি আইনজীবী তপন দাস জানান, গ্রেফতারের পর থেকে অভিযুক্তরা জেলে ছিল। মোট ১৩ জন এই ঘটনায় সাক্ষী দেয়। এদের মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল নির্যাতিতার ৮ বছরের মেয়ের সাক্ষী। তার দেওয়া তথ্য এই কেসে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

২০ বছরের কারাদণ্ড

শুক্রবার অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারপতি সুজয় কুমার সেনগুপ্ত  চারজনকে ২০ বছর জেল, প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে ১ বছর জেল। এর পাশাপাশি নির্যাতিতাকে  সাড়ে সাত লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ রাজ্য সরকারকে।

Read more!
Advertisement
Advertisement