মাত্র পঁয়তাল্লিশ দিনে এক লক্ষ জাতিগত শংসাপত্রে সই করে কার্যত রেকর্ড করেছেন মহকুমাশাসক বিপ্লব সরকার। মহকুমাশাসকের এই কাজের দৌলতে জাতিগত শংসাপত্র বিলিতে রাজ্যে প্রথমস্থান দখল করেছে মাত্র সাত বছর বয়সের এই আলিপুরদুয়ার জেলা।
১ লক্ষ জাতি শংসাপত্র বিলি
জেলায় দুয়ারে সরকারের শিবিরে প্রায় ১ লক্ষ জাতিগত শংসাপত্র বিলি করেছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন।শুধুমাত্র দুয়ারে সরকারের শিবিরেই ৮৭ হাজার জাতিগত শংসাপত্রের আবেদন জমা পড়েছিল। এই বিপুল পরিমান আবেদনকারির প্রায় সকলকেই জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার কাজ সম্পূর্ন করেছে প্রশাসন।
বিরাট কর্মযজ্ঞের নেপথ্যে জেলাশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেটরা
আর এই বিরাট কর্মযজ্ঞের নেপথ্যের নায়ক খোদ আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার। সমস্ত জাতিগত শংসাপত্রেই মহকুমা শাসককে তার জেগে নিজে হাতে সই করে উপভোক্তাদের হাতে তুলে দিতে হয়েছে। মহকুমাশাসকের এই কাজে একজন আবেদনকারিকেও নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়নি। নিজের দপ্তরের কাজ সামলে মহকুমাশাসক ধৈর্যের সাথে প্রতিদিন দুহাজারের বেশি শংসাপত্রে সই করেছেন। শুধু মহকুমাশাসকের সই নয়, সেই সাথে পাচজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এইসব শংসাপত্রের আবেদনকারিদের হেয়ারিং, ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সহ নানান কাজ করেছেন।
সকলের একান্ত প্রচেষ্টাতে সেরার শিরোপা
মহকুমাশাসকের দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে লক্ষাধিক এই জাতিগত শংসাপত্রে টানা সই করতে করতে এখন তিনি ডান হাতে যন্ত্রনা অনুভব করছেন। এই জন্য তাকে চিকিৎসকের দ্বারস্ত হয়েছেন। বর্তমানে মহকুমা শাসকের হাতের চিকিৎসা চলছে। রাজ্যের অন্য কোন জেলা জাতিগত শংসাপত্র এই বিপুল পরিমাণ পরিষেবা দিতে পারেনি।যা করে রাজ্যে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আলিপুরদুয়ার মহকুমা প্রশাসন। আর সে কারণেই আলিপুরদুয়ার জেলা রাজ্যে শেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে।
জেলায় একটি মহকুমা, তাই চাপ বেশি
আলিপুরদুয়ার জেলার চা বাগান পরিবেষ্টিত এলাকায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। আর জেলায় মাত্র একটি মহকুমা তাই সমস্ত শংসাপত্রের আবেদন জমা পড়েছে এই একটি মাত্র মহকুমাশাসকের দপ্তরে।স্বাভাবিক নিয়মেই সমস্ত শংসাপত্রে সই করতে হয়েছে খোদ মহকুমাশাসক বিপ্লব সরকারকে।
পরিষেবা দেওয়া প্রশাসনের কাজ
বিষয়টি নিয়ে মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার বলেন, মানুষের পরিষেবা দেওয়া প্রশাসনের কাজ। আর সেই কাজের জন্যই আমাদের নিয়োগ করেছে সরকার। আমরা সরকারি কর্মীরা মানুষের কাজ করি। জাতিগত শংসাপত্র মানুষের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় নথি। এই কাজ ফেলে রাখা যায় না। তাই প্রায় লক্ষাধিক জাতিগত শংসাপত্রে সই করে সেগুলো বিলি করেছি ঠিকই। কিন্তু এই শংসাপত্রের আবেদন গ্রহন থেকে শুরু করে সার্টিফিকেটের ফাইনাল কপি বের হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে প্রচুর সরকারি কর্মীরা রাতদিন এক করে কাজ করেছেন।