বন্ধুর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার শিলিগুড়ি এক স্কুল শিক্ষক। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওই মহিলা বাজার করতে যাচ্ছিলেন, সে সময় তিনি বাইকে চেপে গিয়ে মহিলার শ্লীলতাহানি করেন বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি বলে জানা গিয়েছে। বুধবার শহরের রবীন্দ্রনগরে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয় অভিযুক্ত শিক্ষককে। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে প্রধাননগর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত শিক্ষকের নাম প্রবীর কুমার বর্মন। তিনি শিলিগুড় বয়েজ হাইস্কুলের শিক্ষক।তিনি বাংলার শিক্ষক। শুধু শ্লীলতাহানিই নয় তাকে শ্বশুরবাড়িতে পূর্ব যাতায়াতের সূত্রে তার বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের চেষ্টারও অভিযোগ আনেন ওই মহিলা।
মহিলার অভিযোগ, ওই শিক্ষক তার স্বামীর বন্ধু। রবীন্দ্রনগরে স্বামীর সঙ্গে বন্ধুত্বের সূত্রে যাতায়াত ছিল তার। মাঝে মধ্যেই মদ্যপ অবস্থাতেও আসতেন বলে অভিযোগ। তার শ্বশুরের মৃত্যুর পর তার শ্বশুরের সম্পত্তি লুটের চেষ্টা ছিল তার বলে অভিযোগ মহিলা। এ বিষয়ে ২০১৯ সালেও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই মহিলা বলে জানা গিয়েছে।
পরবর্তীতে, শ্বশুরবাড়ির সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে তার শাশুড়ি, স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা অন্যত্র চলে যায়। ওই মহিলা তাঁর বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি নিয়ন্ত্রিত বাজারের সামনে ওই মহিলাকে অভিযুক্ত শিক্ষক শারীরিকভাবে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ৯ ফেব্রুয়ারি প্রধাননগর থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্রীলতাহানীর অভিযোগ তুলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তারপর থেকেই ওই শিক্ষক পলাতক ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অবশেষে বুধবার রবীন্দ্রনগর এলাকায় তার বাড়ি থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।