অশান্তির আর এক নাম এখন কোচবিহার
কোচবিহার ও রাজনৈতিক হিংসা যেন সমার্থক হয়ে গিয়েছে। কখনও তৃণমূলের উপর বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ, কখনও বিজেপির উপর তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ।
শুক্রবার রাতে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা
শুক্রবার মুকুল রায় বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরপরই কোচবিহারের একাধিক জায়গায় সংঘর্ষের বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। তুফানগঞ্জে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগের পরই মাথাভাঙাও ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল। রাজনৈতিক নেতারা কোনও দায়িত্ব নিচ্ছেন না। ফলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর দিকে যাচ্ছে।
মাথাভাঙায় বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ
ফের রাজনৈতিক হিংসা মাথাভাঙ্গা ১ ব্লকের জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের নেন্দার পাড় গ্রামে। রাতে বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি এবং এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
বিজেপির দাবি
বিজেপির ৯ মন্ডল সভাপতি রাজীব সরকার অভিযোগ করেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে এবং পরে এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তারা চলে যায় ।
তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার
তবে এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আলিজার রহমান বলেন এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। জোরপাটকি খুব শান্তিপ্রিয় এলাকা। তবে নব্য ও আদি বিজেপির মধ্যে বিবাদ হতে পারে । তাদের বিজেপির কোনো ঝামেলা হয় নি।
পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে
এর আগে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা এবারের বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটার প্রার্থী হওয়া উদয়ন গুহর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি গুরুতর জখম হয়ে ভরতি ছিলেন। এ ছাড়া শীতলকুচি, মাথাভাঙা, দিনহাটা একের পর এক এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরাতে আবেদন জানান খোদ রাজ্যপাল। তারপরও পরিস্থিতি শুধরানোর কোনও আভাস নেই।