দার্জিলিং জেলা এবং শিলিগুড়ি মহকুমা করণা মোকাবিলায় বড় সিদ্ধান্ত নিল জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী এখন থেকে জেলা এবং মহকুমার সমস্ত নার্সিংহোম গুলিকে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেড করোনা রোগীদের জন্য সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হলো। কোনও নার্সিংহোম নিজেদের করোনামুক্ত বা করোনার চিকিৎসা হয় না বলে দাবি করতে পারবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত নির্ধারিত বেড খালি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভর্তি নিতে হবে।
ঠিকমতো পালন হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি দল বিষয়টি দেখভাল করবে। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি নার্সিংহোম এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে দিন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দার্জিলিং জেলায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসনিক আধিকারিক সহ বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের নিয়ে স্টেট গেস্ট হাউসে জরুরি বৈঠক সারলেন জেলাশাসক।
বৈঠকের পর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, জেলা এবং মহকুমার সমস্ত নার্সিংহোমগুলিকে সরকারী গাইড লাইন অনুযায়ী ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেড সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে বেশ কয়েকটি নার্সিংহোম এবং ডায়াগনেস্টিক সেন্টার করোনা পরীক্ষা করতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আগে টেস্টিং কিট পরীক্ষা করা হবে। তারপরই সবকিছু ঠিক থাকলে সেইসব নার্সিংহোম এবং ডায়াগনেস্টিক সেন্টারকে করোনা পরীক্ষা করার অনুমতি দেওয়া হবে।
এছাড়াও তিনি আরও বলেন,শিলিগুড়ির ইনডোর স্টেডিয়ামকে ফের সেফ হাউস করা হচ্ছে। পাশাপাশি নকশালবাড়ির হাতিঘিসা,বাতাসি ও লিম্বুটারিতে থাকা সেফ হাউসগুলির ওপরও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।
এর আগে বিভিন্ন নার্সিংহোমে বিরুদ্ধে করোনা রোগীকে ঘুরিয়ে দেওয়া কিংবা ভর্তি নিলে কুড়ি পঁচিশ এমনকি 50 হাজার টাকা জমা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি ল্যাবের আরটিপিসিআর টেস্টের জন্য দ্বিগুণেরও বেশি মূল্য ধার্য করা হচ্ছিল। যার কোনও রশিদ দেওয়া হচ্ছিল না। এই সমস্ত কিছু অভিযোগ আসতে থাকায় তা নিয়ন্ত্রণে অবশেষে টনক নড়ে স্বাস্থ্যকর্তাদের।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্ডোর স্টেডিয়ামকে ফের সেফ হাউস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।মঙ্গলবার ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সেফ হাউস এর কাজ খতিয়ে দেখেন বিদায়ী পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব৷উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জন সরকার সহ অন্যান্যরা। গৌতম দেব বলেন, করোনা সংক্রমনের কথা ভেবে শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামকে সেফ হাউস করা হয়েছিল৷সবরকম ব্যবস্থা তৈরি রয়েছে।এর আগে ৫০টি বেড ছিল তা বাড়িয়ে ৭০টি করা হয়েছে।এছাড়াও এবারে ১৮টি অক্সিজেন বিশিষ্ট বেডের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আগামীকালের মধ্যেই সিএমওএইচ এর হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।