Advertisement

গুরুংয়ের সঙ্গে এক মঞ্চে নয়! নবান্নে বৈঠকের আগে হুঁশিয়ারি বিনয় তামাংয়ের

বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে এমনটাই জানালেন জিটিএ প্রধান বিনয় তামাং। তিনি সাফ জানালেন, পাহাড়ের মানুষ বিমল গুরুংকে চান না। সেখানকার মানুষ শান্তি চান। নবান্নে মঙ্গলবার বৈঠকের সঙ্গে সোমবার বিকালে কলকাতায় পৌঁছান বিনয় তামাং ও অনিত থাপা। 

গুরুংকে হুঁশিয়ারি বিনয় তামাংয়ের। ছবি- বিনয় তামাংয়ের ফেসবুক পেজ থেকে
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 02 Nov 2020,
  • अपडेटेड 10:06 PM IST
  • গুরংকে কটাক্ষ বিনয় তামাংয়ের
  • একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়, জানালেন বিনয় তামাং
  • মঙ্গলবার বৈঠক রয়েছে নবান্নে

বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে এমনটাই জানালেন জিটিএ প্রধান বিনয় তামাং। তিনি সাফ জানালেন, পাহাড়ের মানুষ বিমল গুরুংকে চান না। সেখানকার মানুষ শান্তি চান। নবান্নে মঙ্গলবার বৈঠকের সঙ্গে সোমবার বিকালে কলকাতায় পৌঁছান বিনয় তামাং ও অনিত থাপা। 

এদিন কলকাতায় পৌঁছে বিনয় জানান, ২৬ তারিখ তিনি বৈঠকের জন্য ফোন পান। তাই মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি বৈঠকে যোগ দিতে এসেছেন। পাহাড়, ডুয়ার্স ও শিলিগুড়িতে শান্তি বজায় রাখার আলোচনাই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্যে। এছাড়াও পাহাড়ে রাজনৈতিক স্থিরতা বজায় রাখা নিয়ে বৈঠকে কথা হবে। যেমনটা ২০১৭ সাল থেকে পাহাড়ে চলে আসছে।

গুরুং প্রসঙ্গে কী জানালেন বিনয় ?

বিমল গুরুং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''আইনের উপরে কেউ নন। বিমল গুরুং আমাদের আলোচ্য বিষয়ই নন। তিনি আমাদের সিলেবাসের বাইরে। আমরা তাঁকে নিয়ে কিছু ভাবছি না। আমরা কেবল পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখার বিষয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার বৈঠকে যাচ্ছি। সামান্য কিছু মানুষ গুরংকে সমর্থন করেন। পাহাড়ে গুরুং ৩ বছর ধরে নেই। এখন কেবল আমরা আছি, উনি নয়। পাহাড় ও সমতলে মানুষ প্রত্যেকেই গুরুংয়ের বিরোধী। আমরা গুরুং, রোশন গিরি ও তাদের সহযোগীদের সঙ্গে রাজনৈতিক-সহ কোনও মঞ্চই ভাগাভাগি করব না। ওরা পাহাড়ে আসলেই আবার শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। আমরা কেবল পাহাড়ে শান্তি প্রক্রিয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছি, ২০১৭ সাল থেকে যেমনভাবে চলে আসছে। ''

আগামীকাল নবান্নে বৈঠক

৩ বছর অজ্ঞাতবাসে থাকার পরে অনেকটা নাটকীয় ভাবে অক্টোবরের ২১ তারিখ কলকাতায় দেখা যায় বিমল গুরংকে। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এনডিএ-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন। সেইসঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। গুরুংয়ের এহেন আর্বিভাবের পরেই বদলের যায় পাহাড়ের রাজনৈতিক চিত্র। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং-এ গুরুং বিরোধী বিরাট মিছিল বার করেন বিনয় তামাংপন্থীরা। তারপরেই নবান্নে বৈঠকের জন্য ডেকে পাঠানো হয় বিনয় তামাংকে। বিনয় তামাং কলকাতায় পা রেখেই সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি গুরুংয়ের সঙ্গে কোনওপ্রকার মঞ্চ ভাগাভাগি করবে না। সোমবার রাতে সল্টলেকের গোর্খা হাউসেই থাকবেন বিনয় তামাং ও অনিত থাপা। 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement