Advertisement

নিজের কেন্দ্রেই কালো পতাকা দেখলেন সাংসদ রাজু বিস্তা, হতাশাজনক বলে দাবি তাঁর

নিজের কেন্দ্রেই কালো পতাকা দেখানো হল, দার্জিলিংয়ের সংসদ রাজু বিস্তাকে। হতাশাজনক বলে মন্তব্য করলেন রাজুবাবু। রবিবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার বিজেপি কার্যকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে যান সপার্ষদ সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি চোপড়া থানায় থাকার সময়ে দুষ্কৃতীরা থানা ঘেরাও করে বলে অভিযোগ।

ঘেরাও সাংসদ রাজু বিস্তা ও তিন বিজেপি বিধায়ক
সংগ্রাম সিংহরায়
  • শিলিগুড়ি,
  • 11 May 2021,
  • अपडेटेड 6:46 PM IST
  • চোপড়ায় কালো পতাকা রাজু বিস্তাকে
  • সঙ্গে ছিলেন তিন বিজেপি বিধায়ক

নিজের কেন্দ্রেই কালো পতাকা দেখানো হল, দার্জিলিংয়ের সংসদ রাজু বিস্তাকে। হতাশাজনক বলে মন্তব্য করলেন রাজুবাবু। রবিবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার বিজেপি কার্যকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে যান সপার্ষদ সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি চোপড়া থানায় থাকার সময়ে দুষ্কৃতীরা থানা ঘেরাও করে বলে অভিযোগ। রাজু বাবুর অভিযোগ, এরা সমস্তই তৃণমূলের কর্মী সমর্থক। তাঁর দাবি, এটাই প্রমাণ করে এখানকার রাজনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সেই সঙ্গে নির্বাচিত সমস্ত মন্ত্রীদের দায়িত্ব নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া উচিত বলেও তিনি জানান। রাজু বাবুর অভিযোগ, গোটা রাজ্যে বিজেপি কর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ অত্যাচারিত হচ্ছেন। তৃণমূলের মনে রাখা উচিত, রাজনৈতিক লড়াইয়ে হার জিত থাকে। তবে সাংবিধানিক বিধি মেনে শান্তি বজায় রাখা উচিত। চোপড়ায় দিন দলীয় কর্মী সমর্থকদের পাশে দাঁড়াতে হাজির হয়েছিলেন সাংসদ। সেখানেই তার উপস্থিতি ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়।

রাজুবাবুর দাবি

আজ, আমি চোপড়া বিধানসভায় দলীয় কর্মীদের বিষয়ে কথা বলতে থানায় যাওয়ার সময় টিএমসি গুণ্ডা রাজের উদাহরণ চোখের সামনে দেখতে পেয়েছি। দলীয় কর্মীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ, পুলিশের কাছে ন্যায় বিচার দাবি এবং দলের কর্মীদের প্রতি একতা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এদিনের সফর ছিল।

বিজেপির অভিযোগ

চোপড়া থানা পরিদর্শনের সময় প্রায় ৪০-৫০ জন অপরাধীর একটি দল থানায় ঘেরাও করে এবং রাজু বিস্তা সহ উপস্থিত সবাইকে নিগ্রহ করতে চেষ্টা করে। উপস্থিত সিআরপিএফ এবং বিএসএফ জওয়ানদের হস্তক্ষেপে বড় ধরণের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেয়নি। একজন সাংসদ ও তিন বিধায়কদের উপস্থিতিতে গুন্ডারা এতটা দুঃসাহসিকভাবে থানা ঘেরাও করবে। টিএমসি পার্টির সমর্থনেই এই কাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি, তাঁর।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ

বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য টিএমসির তরফে গত দু সপ্তাহ ধরে চোপড়ার বিভিন্ন অংশে সন্ত্রাস চলেছে, বিজেপি কার্যকার্তদের টার্গেট করে হত্যা এবং তাদের বাড়িঘর ও দোকানপাটের লুটপাটের চেষ্টা চলছে। দাসপাড়া, মাঝিয়ালি এবং চোপড়া শহরের স্থানীয় বাজারগুলি লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়েছিল এবং বিজেপি কর্মকারদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এই গুন্ডারা চা শিল্পকেও ছাড়েনি এবং অনেক চা কারখানা লুট হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমাদের শত শত বিজেপি কার্যকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালে জীবন-যাপনের জন্য লড়াই করছেন। টিএমসি গুন্ডারা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে বাধা দিচ্ছে এবং আমাদের হাজার হাজার সমর্থক তাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।আমি অত্যন্ত আশাবাদী যে পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন আমাদের সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবে, আইনের শাসনকে সমর্থন করবে এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসবাদের এই বর্বর কর্মকান্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement