Manipur Landslide Vitim Bodies Returns Home: শনিবার দেহ ফিরছে মণিপুরে ধসে চাপা পড়ে মৃত ১১ জওয়ানের দেহ। মোট দুটি বিমানে ফিরছে দেহগুলি। বাগডোগরা বিমানবন্দরে প্রথম বিমানে ছ’জন জওয়ানের দেহ নিয়ে আসা হবে। এরপর দ্বিতীয় বিমানে ফিরবে বাকি পাঁচ জওয়ানের দেহ। মৃতদের মধ্যে দার্জিলিংয়ের ৯ জন জওয়ান রয়েছেন। একজন জলপাইগুড়ি ও একজন সিকিমের জওয়ানও রয়েছেন। শুক্রবার তাঁদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
বুধবার গভীর রাতে মণিপুরের টুপুলে নির্মীয়মাণ রেল স্টেশনের কাছে ব্যাপক ধস নামে। সেখানেই কাজ করছিলেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর ১০৭ নম্নর ব্যাটেলিয়নের টেরিটোরিয়াল আর্মির সদস্যরা। ধসের কারণে আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন জওয়ান। শুক্রবার পর্যন্ত ১৮ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, এই ঘটনায় মোট ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর মিলেছে। যার মধ্যে দার্জিলিংয়েরই ৯ জন। আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
মণিপুরে ভূমিধসে মৃত্যু বহু সেনা জওয়ানের। গোটা একটা সেনা ক্যাম্প ধসে গিয়েছে ৷ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। এখনও পর্যন্ত কিছু সেনার মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সেনা যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শনিবারও উদ্ধারকাজ চলছে। সবাইকে উদ্ধার করা যায়নি। টুপুল রেলওয়ে ইয়ার্ডে ধসে রাজ্যের মৃত সেনাদের খবর পাওয়ামাত্র টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন । অন্যদিকে, বিজয় মিছিল স্থগিত রেখেছেন জিটিএ নির্বাচনে জয়ী ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনিত থাপা । তিনি জানিয়েছেন, এখন পাহাড়ের কোথাও কোনও বিজয় মিছিল হবে না । এটা গোটা পাহাড়ের কাছে জন্য দুঃখের সময় । পাশাপাশি দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মৃত জওয়ানদের পরিবারের পাশে থাকার আবেদন জানিয়েছেন তিনি ।
অন্য়দিকে মণিপুরের টুপুল থেকে এক সেনা আধিকারিক মৃত জওয়ানের পরিবারকে জানান যে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। অথচ সেনা ও প্রশাসনের পক্ষে মৃত জওয়ানদের দেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসার তালিকায় নাম নেই সঞ্জয় ওরাঁওয়ের । এতে দুশ্চিন্তায় তাঁর পরিজনরা ৷ বুঝতে পারছেন না, মারা গিয়েছেন নাকি মারা যাননি।
২০১৭-য় সেনায় চাকরি পেয়েছিলেন সঞ্জয়। টেরিটোরিয়াল আর্মির ১০৭ ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন। গত বছর ডিসেম্বরে বাড়িতে এসেছিলেন । এবছর সেপ্টেম্বরে আসার কথা ছিল। জানা গিয়েছে, কার্শিয়াং মহকুমার রোহিনীর বাসিন্দা হাবিলদার মিলন তামাং ও রঙ্গবুলয়ের রংবুলের বাসিন্দা সীতারাম রাই, দার্জিলিংয়ের মেরিবঙয়ের চুংথুংয়ের বাসিন্দা দিওয়াঙ্কর থাপা, রঙ্গলি রঙ্গলিয়টের বাসিন্দা অসম রাইফেলস-এর রাইফেলম্যান বেঞ্জামিন, সিংমারি নবীন গ্রামের বাসিন্দা গ্রেনেডিয়ার্স ব্যাটেলিয়নের রাইফেলম্যান মার্কাস গুরুং, মিরিকের মুরমা মারাধুরার বাসিন্দা ১৩ জাক রাইফেলস ব্যাটেলিয়নের লিঙ্কম্যান বিশাল ছেত্রী, কার্শিয়াংয়ের বাসিন্দা বিধান রাই, হ্যাপিভ্যালি চা বাগানের বাসিন্দা গ্রেনেডিয়ার্সের লিঙ্কম্যান ভূপেন রাই, নাগরিসপুরের চা বাগানের বাসিন্দা রাইফেলম্যান লাদুপ তামাং, জলপাইগুড়ির কলাবাড়ির খেরকাটা বস্তির বাসিন্দা অসম রাইফেলস এর রাইফেলম্যান শঙ্কর ছেত্রী ও উত্তর সিকিমের লিন্দগেমের বাসিন্দা ১২ রাজপুত রাইফেলস-এর শেরিং লেপচার দেহ নিয়ে আসা হচ্ছে।