১১ বছর আগে খুন হওয়া মদন তামাং
মদন তামাং হত্যাকাণ্ডে জড়িত গুরুং ! তার প্রমাণ রয়েছে সিবিআইয়ের কাছে ! এমনটাই জানা গিয়েছে, খোদ সিবিআইয়ের আইনজীবীর জবানেই। ফলে নতুন করে অস্বস্তিতে গুরুং। পাহাড়ে নতুন করে রাজনৈতিক অশান্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
গুরুংয়ের ভবিষ্যৎ কি ?
এরপর কী স্ট্র্যাটেজি হবে গুরুংয়ের তা নিয়েই চিন্তায় পাহাড়ের তিস্তা পারের লোকেরা। কারণ গুরুং বারবারই দাবি করেছেন তিনি মদন তামাং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত ছিলেন না। সিবিআই তার উল্টো দাবি করছে। ফলে এখন সমস্যা তুঙ্গে। রাজ্যের একের পর এক মামলা থেকে অব্য়াহতি পেলেও কেন্দ্রীয় সংস্থার অভিযোগ থেকে কীভাবে অব্যাহতি পাবেন, তা বুঝে উঠতে পারছে না অনেকেই।
একাধিক মামলায় জড়িচ বিমল
ক্ষমতায় থাকাকালীন বিমল গুরুং একাধিক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। কেন্দ্রে থাকা দল বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে বিমল হাত ধরেছেন তৃণমূলের। তাই কি তাকে পুনরায় এই সমস্যার মুখে পড়তে হল ! এর আগে একাধিক মামলায় জড়িত থাকলেও রাজ্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন বিমল। এবার কেন্দ্রের সঙ্গ ছেড়ে রাজ্যের হাত ধরতেই ১১ বছর আগের পুরনো মামলা তাঁর সামনে খাঁড়া হয়ে ঝুলবে তা হয়তো ভাবতেও পারেননি তিনি।
বিনয়-বিমল সাক্ষাতের পরই সিবিআই জুজু
দিন দুয়েক আগেই নিজের প্রতিষ্ঠিত দল ছেড়ে বিবাগী হয়ে যাওয়া বিনয় তামাং দেখা করেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে। বুধবার সন্ধ্যায় প্রায় চার বছর পর মুখোমুখি হয়েছিলেন দুজনে। এরপর বিমল বলেন, আমি তো সবারই অভিভাবক। এবার পাহাড়ের সেই অভিভাবককেই কার্যত অস্বস্তিতে ফেলে পা ফেলতে শুরু করল সিবিআই।
কার দাবি ধোপে টিঁকবে
মদন তামাং হত্যার ঘটনায় এবার নয়া মোড়। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের। সূত্রের খবর অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ নেতা প্রয়াত মদন তামাংয়ের স্ত্রী ভারতী তামাংও আদালতে একই আবেদন করেছেন। কিন্তু শুক্রবার দুটি মামলাই আদালতে উঠলে ব্যক্তিগত কারণের কথা উল্লেখ করে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চ মামলা শুনতে চাননি। ফের তা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চে যায়।
গুরুংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ !
সিবিআইয়ের আইনজীবী অনির্বান মিত্র জানিয়েছেন,' আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে গুরুংয়ের এই ঘটনায় জড়িত । সেকারনেই নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে।' এবার একটু পেছনের দিকে ফেরা যাক। ২০১০ সালের ২১শে মে। দার্জিলিংয়ের রাস্তায় প্রকাশ্যে দিনের বেলা খুন করা হয় মদন তামাংকে। রক্তে ভেসে যাওয়া সেই ছবি দেখে শিউরে উঠেছিলেন অনেকেই।
বিমলের কপালে শনি
এরপর তদন্তভার নেয় সিআইডি। ২২জনকে পলাতক দেখিয়ে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। পরে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। অভিযুক্ত করা হয় গুরুংকে। কিন্তু কলকাতা নগর ও দায়রা আদালত থেকে ২০১৭ সালে অক্টোবর মাসে অব্যাহতি পান বিমল। কিন্তু তার চার বছর পরে বর্তমানে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে সেই মামলা কার্যত রি ওপেন করল সিবিআই। সেটাও আবার তথ্য প্রমাণ হাতে নিয়ে। তবে কী পাহাড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বিমল সুর চড়াতেই পালটা তার বিরুদ্ধে সক্রিয় হল সিবিআই? নানা প্রশ্ন ঘুরছে দার্জিলিংয়ের রাস্তায়।