করোনা আতঙ্ক
উত্তরবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সঙ্গে আতঙ্ক গেড়ে বসেছে মানুষের মনে।
আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা
গত ২৪ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। মোট মৃত, স্বাস্থ্য দপ্তরের খবর অনুযায়ী ১৭। বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া হিসেবে ভিত্তিতেই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গোটা উত্তরবঙ্গের পরিসংখ্যান
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে সাতজন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পাঁচজন রায়গঞ্জ গভার্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাকিরা শিলিগুড়ির বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। এদিন উত্তরের ৮ টি জেলার ২ হাজার ৭৪০ জন করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫৯ জন আলিপুরদুয়ারের, ১৮৫ জন কোচবিহারের, ৪৪০ জন দার্জিলিংয়ের, ৮৪ জন কালিম্পং, ২৮৭ জন জলপাইগুড়িতে, ২৮৭ জন উত্তর দিনাজপুরে, ২৫২ জন দক্ষিণ দিনাজপুরে ও ৫৪৪ জন মালদার বাসিন্দা রয়েছেন। এদিন শিলিগুড়ি পুর নিগম এলাকায় ২৩১ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে এ ছাড়াও দার্জিলিং পৌরসভা এলাকায় ৭২৫ জন এবং ১১ জন কার্শিয়াং পুরসভায় আক্রান্ত হয়েছেন। মিরিক মহকুমায় ৬ জন, মাটিগাড়ায় ১০২ জন এবং নকশালবাড়িতে ৩৪ জন নতুন করোনা সংক্রমণের খবর এসেছে।
সুস্থতার হার ভালো হওয়া সত্ত্বেও আতঙ্ক
বেশ কিছু করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু তা সত্বেও বিপুল পরিমাণে আক্রান্তের খবর মিলতেই আতঙ্কে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে উত্তর সব জেলাতেই। শিলিগুড়ি এবং মালদাতে সংক্রমনের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি।
করোনায় মৃত্যুর খবরে গোলমাল
এর মধ্যে শিলিগুড়িতে করোনা সংক্রমিত হয়ে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় এক চিকিৎসকের মারধরের ঘটনায় শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে উত্তেজনা ছড়ায় মঙ্গলবার রাতে। ঠিক কোন অভিযোগে রোগীর আত্মীয়রা নার্সিংহোমের চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন তা জানা যায়নি। তবে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁরা হয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধর করেন। তিনিও জখম হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নার্সিংহোমের তরফে নিরাপত্তা না পেলে রোগী পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার পরই মাটিগাড়া থানার পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে ও মিটমাট করানোর চেষ্টা শুরু করেছেন।