শ্মশানে মৃতদেহ ফেলে চম্পট দিল আত্মীয়রা, দাহ সংস্কার করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
ফের অমানবিক শিলিগুড়ি
মৃতদেহ দাহ সংস্কার করতে এসে মৃতদেহ রেখে চম্পট দিল আত্মীয়-পরিজনরা। দীর্ঘক্ষণ শ্মশানেই পড়ে রইল মৃতদেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও পুলিশ পৌঁছে সংস্কার করল মৃতদেহ। ঘটনায় আবারও মানবিকতাকে নিয়ে প্ৰশ্ন উঠছে।
মৃতদেহ কার? ধন্দে শ্মশান কর্তৃপক্ষ
আবারও শহর শিলিগুড়িতে ফুটে উঠল এক চরম অমানবিকতার ছবি। শিলিগুড়ির কিরণচন্দ্র শ্মশান ঘাটে মৃতদেহ দাহ করাতে এসে মৃতদেহকে রেখেই চম্পট দেয় মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-পরিজনরা। ঘটনা বুধবার সকালের, জানা গিয়েছে এদিন সকালে কিরণচন্দ্র শ্মশান ঘাট থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুক্তধারার কাছে ফোন আসে ওই শ্মশানে এক মহিলার মৃতদেহ দীর্ঘক্ষণ পড়ে রয়েছে। কিন্তু সঙ্গে যাঁরা এসেছিল, তাঁদের আর খোঁজ মিলছে না। সম্ভবত পালিয়ে গিয়েছেন। এরপরে ঘটনার খবর পেয়ে মুক্তধারা সংগঠনের মহিলা সদস্যরা শ্মশান ঘাটে পৌঁছন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও।
খোঁজ মেলেনি পরিবারের
দাহ করার আগে ও পরে পরিবারের খোঁজ করলেও, বা কারা ওই দেহটি নিয়ে এসেছিল, তা জানতে চাইলে তা পাওয়া যায়নি। কয়েকজনকে মৃতদেহের সঙ্গে আসতে দেখলেও পরে তারা কোথায় কখন চলে যায়, তা কেউ খেয়াল করেনি। অনেক সময় পাড়ার লোকে মৃতদেহ পোড়াতে নিয়ে এলে রেখে চা খেতে যায়। তাই কেউ অস্বাভাবিক মনে করেনি। এমন ঘটনা ঘটবে তা বুঝতে পারেননি কেউই।
চিকিৎসক এসে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করেন
ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতিতে ডাক্তার এসে মৃত ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার পরই ওই মহিলার মৃতদেহ দাহ করে মুক্তধারা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
স্বেচ্ছাসেবীদের দাবি
এ দিন মুক্তধারা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে কাবেরী চন্দ্র সরকার বলেন, আমাদের কাছে এই কিরণচন্দ্র শ্মশান ঘাট থেকে একজন ফোন করে এই মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর জানায়। ঘটনার খবর পেয়ে প্রধাননগর থানার পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং চিকিৎসকও আসেন। দেহটি আদৌ মৃত কি না, তা পরীক্ষা করে সুনিশ্চিত করা জরুরি ছিল। পরে ওই চিকিৎসক মৃতদেহটিকে পরীক্ষা করে ডেট সার্টিফিকেট দেওয়ার পর মৃতদেহটি দাহ করা হয়। এদিন তিনি আরো বলেন, একজন মা কে ফেলে দিয়ে চলে গেছে তার সন্তান কিংবা তার পরিবার ও আত্মীয়রা। এর চরম ও মানবিকতা। তাঁদের খোঁজ পেলে শাস্তি হওয়া উচিৎ বলে দাবি তাঁর।