Advertisement

নিজের যৌনাঙ্গে কোপ, ঝুলন্ত পুরুষাঙ্গ দেখে ভিরমি খেল জনতা

ছেলের চিৎকারে ছুটে এসেছিলেন পরিবারের লোকজন। সামনে তাকিয়ে যা দেখলেন, তাতে শিউরে উঠলেন তাঁরা। কি দেখলেন ?...

প্রতীকী ছবি
মিল্টন পাল
  • মালদা,
  • 06 Aug 2021,
  • अपडेटेड 1:55 PM IST
  • হাতের ব্লেডে কেটে দুখান হল পুরুষাঙ্গ
  • দৃশ্য দেখে মানসিক ভারসাম্য হারালেন প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে
  • পুরুষাঙ্গ পুনর্স্থাপনের চেষ্টা চিকিৎসকদের

ছেলের চিৎকারে ছুটে এসে ভিরমি খেলেন সকলে

ছেলের চিৎকারে ছুটে এসেছিলেন পরিবারের লোকজন। সামনে তাকিয়ে যা দেখলেন, তাতে শিউরে উঠলেন তাঁরা। তাঁদের চিৎকারে আরও যাঁরা ছুটে এসেছিল, তাঁদের কেউ কেউ এমন ভিরমি খেলেন, যাতে তাঁদের মাথায় জল ঢেলে তাঁদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে হল।

মানসিক স্থিতি হারিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে

ঘটনাটি মালদার রতুয়ার। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এর আগে অনেক খুন, আত্মহত্যা সহ অনেক রকম অপরাধ দেখেছে এলাকা। কিন্তু এমন বীভৎস দৃশ্য দেখে অনেকেই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এমন দৃশ্য টিভি বা চলচ্চিত্রে সেন্সর করে দেখানো হয়। সেখানে সামনা সামনি এই ঘটনা দেখে অনেকেই নিজের মানসিক স্থিতি হারিয়ে ফেলেছেন বলে খবর।

মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও এমন ঘটনা প্রথম

জানা গিয়েছে রতুয়ার আবদুল ওয়াহাদ মানসিকভাবে অসুস্থ। দীর্ঘ ১১ বছর থেকেই তিনি এই মানসিক রোগে ভুগছিলেন। তবে ছোটখাটো অঘটন ঘটালেও এর আগে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। এভাবে দুর্ঘটনা ঘটে যাবে তা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি তাঁরা। জানালেন পরিবারেরই একজন।

দ্বিখণ্ডিত পুরুষাঙ্গ অস্ত্রোপচারে পুনর্প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চিকিৎসকদের

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের পুরুষাঙ্গ নিজেই কেটে ফেলেন। প্রায় দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ফিনকি দিয়ে রক্ত ছিটিয়ে পড়ে আশেপাশে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে রতুয়া হাসপাতাল, পরে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হলে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে দ্বিখণ্ডিত পুরুষাঙ্গ অস্ত্রোপচারে পুনর্প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

এলেমেলো কাজের মধ্য়েই অঘটন

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ১১ বছর ধরে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে একটি ব্লেড হাতে নিয়ে কাগজ, পিচবোর্ড কাটাকুটি করছিলেন। এমনটা তিনি রোজই করেন। তাই ব্লেড হাতে থাকলেও খুব একটা গা করেননি কেউ। আর স্বাভাবিক না থাকায় দিনভর তাঁর দিকে মনোযোগ দেন না কেউই। আচমকা কোন সময় ব্লেড চালিয়ে দিয়েছেন তিনি, তা জানে না কেউ। ব্লেড চালিয়ে অঘটন ঘটানোর পরই তিনি চিৎকার করে ওঠেন যন্ত্রণায়। প্রায় দ্বিখন্ডিত হয়ে ঝুলে পড়ে পুরুষাঙ্গ। তারপরই সকলে ছুটে আসেন। হাতে ব্লেড আর রক্ত দেখে ব্যাপারটি আঁচ করতে অসুবিধা হয়নি তাঁর।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement