চা-বাগান সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য এক ক্লিকে যাতে হাতের মুঠোয় পাওয়া যায়, সে উদ্দেশ্যে ডেটা ব্যাঙ্ক তৈরি করছে রাজ্য। কোন বাগান বন্ধ, কোন বাগান খোলা, কোন বাগানে কত কর্মী রয়েছে, কোন বাগানে কত কর্মী কিংবা কোন বাগানের উৎপাদন কত সব তথ্যই থাকবে এক জায়গায়। যাতে সুবিধা-অসুবিধা সবটাই বোঝা যায়। গত সপ্তাহে শিলিগুড়িতে এসেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। টি অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন তিনি। সেখানেই এই কথা জানিয়েছেন তিনি। টি ডিরেক্টরেটের একটি বৈঠকে হাজির ছিলেন মন্ত্রী। চা শিল্পের উন্নয়নে আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ Vastu Tips: বাড়িতে রাখুন এই দু'টি গাছ, আসবে সুখ-সমৃদ্ধি
চা সুন্দরী ও প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিশেষ জোর
চা বাগান শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া পরিশোধের বিষয়টিকে টি অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল (টিএসি) গুরুত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি, চা সুন্দরী প্রকল্পের মাধ্যমে চা বাগানের শ্রমিক পরিবারগুলির ঘর তৈরি করে দেওয়ার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে মলয়বাবু জানিয়েছেন।
টি অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের নতুন কমিটি
গত ২৬ জুলাই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে টি অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের নতুন কমিটি গঠিত হয়। মন্ত্রী মলয় ঘটককে এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। কমিটিতে মোট ১২ জন সদস্য রয়েছে। রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণকুমার কল্যাণীকে কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এছাড়াও এই কমিটিতে সদস্য হিসাবে রয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বুলু চিকবড়াইক। রয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী, আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুনঃ Independence Day 75 years: স্বাধীনতা সংগ্রামে কে কোন স্লোগান তোলেন, যা অমর হয়ে যায়?
চেয়ারম্যানের আশ্বাস
মলয়বাবু জানিয়েছেন, টি অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল অনেকদিন ধরেই কাজ করছে। এর আগেও অনেক কাজ হয়েছে। আমরা আবার নতুন করে কাজ শুরু করছি। চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের ছেলেমেয়েছের স্বনির্ভরতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এমন ৩৫০ জনের হাতে শীঘ্রই শংসাপত্র তুলে দেওয়া হবে।