শুটিং করতে হিল্লি-দিল্লি নিদেনপক্ষে সব পেয়েছির আসর খুঁজতে হলে যেতে হয় রামোজি ফিল্ম সিটিতে। কিন্তু প্রতীক্ষার দিন বোধহয় শেষ হতে চলেছে। কারণ উত্তরবঙ্গের ঘরের কাছেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে ফিল্ম সিটি-র। সব কিছু ঠিক থাকলে সিকিমে বেশ কিছু জায়গা নিয়ে সিনেমা তৈরি করার পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ২ বছরের মধ্যেই তা তৈরি হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।
শিলিগুড়িতে হয়নি, সিকিমে আশা
এ রাজ্যে শিলিগুড়িতে কাওয়াখালিতে জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছিল ফিল্ম সিটির জন্য। টালিগঞ্জের খ্যাতনামা পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে আসা হয়েছিল পরিকল্পনা রূপায়নের জন্য। তারপর সেখানে আর কাজ এগোয়নি অজ্ঞাত কারণে। তার কোনও ব্যাখ্যাও দেননি এ রাজ্যের মন্ত্রীরা। সেই সময় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়েছিলেন, হবে। কিন্তু হয়নি।
একাধিক জায়গা চিহ্নিত করে সার্কিট তৈরি হবে
এবার সিকিমের রুমটেক, সৌরেনি, রিমপংচেং সহ বেশ কিছু জায়গায় এবং তিস্তা পারকে সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি প্রমোট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটি মতো এত বড় জায়গা স্বাভাবিকভাবেই সিকিমে পাওয়া যাবে না। তবে উদ্যোগ এবং উৎসাহের কমতি নেই। যা আছে তা নিয়েই শুরু করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন ও রাজ্যের ফিল্ম প্রমোশন বোর্ডের চেয়ারপার্সন পূজা শর্মা।
সিকিমকে প্রমোশনে জোর
সিকিমে প্রতি বছর প্রচুর দেশ বিদেশি পর্যটক এখানে ছুটে আসেন। পাশাপাশি বেশ কিছু সিনেমার শুটিং হয়েছে। তবে প্রমোশনের অভাবে এতদিন সিকিমকে ডাইভার্ট করে দার্জিলিং এবং নেপালে শুটিং হলেও সিকিমে খুব একটা হয়নি। তাই সিকিমকেও একই ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরার প্লাটফর্ম
বিশেষ করে কয়েকটি জায়গা চিহ্নিত করে তারা ইকো হেরিটেজ সিটি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী ২ বছর সময় নেওয়া হয়েছে ফিল্ম সিটি তৈরি করার জন্য। পাশাপাশি একাধিক স্টুডিও তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সিকিমের প্রচুর লোক বলিউড এবং টালিগঞ্জে কাজ করেন। সেটা তাঁরা নিজের রাজ্যে কাজ করতে পারবেন, তেমনই যাঁরা সিনেমা জগতে নিজেদের ক্যারিয়ার তৈরি করার স্বপ্ন দেখেন, তারা ঘরে বসেই সেই সুযোগ পাবে।
গ্লোবাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল দিয়ে সূচনা
আগামী শীতে গ্যাংটকের সিকিম গ্লোবাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আয়োজন হতে চলেছে। সেখানে বাড়তি সুযোগ মিলবে প্রমোশন করার ও পরিকল্পনা তৈরি করার।