Advertisement

নেপালে পাচারের আগে হাতির দেহাংশ ও তক্ষক উদ্ধার শিলিগুড়িতে

পুলিশ, বন দপ্তর ও সশস্ত্র সীমা বলের জওয়ানদের দুটো পৃথক অভিযানে নেপালে পাচারের আগে হাতির দেহাংশ ও তক্ষক উদ্ধার শিলিগুড়িতে।

উদ্ধার বন্যপ্রাণের অংশউদ্ধার বন্যপ্রাণের অংশ
জয়দীপ বাগ
  • নয়াদিল্লি,
  • 10 Mar 2022,
  • अपडेटेड 6:40 PM IST
  • পুলিশ, বন দপ্তর ও সশস্ত্র সীমা বলের জওয়ানদের যৌথ অভিযান
  • উদ্ধার তক্ষক ও হাতির দেহাংশ
  • শিলিগুড়িতে বড় সাফল্য

পুলিশ, বন দপ্তর ও সশস্ত্র সীমা বলের জওয়ানদের দুটো পৃথক অভিযানে উদ্ধার হাতির দেহাংশ ও তক্ষক। নেপালে পাচারের আগে যৌথ অভিযানে উদ্ধার এই সামগ্রীগুলি। দুটি ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসএসবির ৪১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের গোয়েন্দা বিভাগ ও বন দপ্তর শিলিগুড়ি সংলগ্ন খড়িবাড়ি ব্লকে অভিযান চালায়।

উদ্ধার তক্ষক, হাতির দেহাংশ

বুধবার মাঝরাতে খড়িবাড়ি বাজারে অভিযান চালিয়ে গোপনসূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে। তার কাছে একটি ছোট খাচাঁর মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় একটি তক্ষক। পরবর্তীতে তাকে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি থেকে ওই তক্ষকটি নেপালে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃত ব্যক্তির নাম নিত্যানন্দ শীল। তার বাড়ি ফাঁসিদেওয়া এলাকায় আজ তাকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

আরও পড়ুন

অন্যদিকে, সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে হাতির দাঁত সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল বন দপ্তর। এরপর ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে বন দপ্তর। ধৃতের কাছ থেকে হাতি দেহাংশ পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, গত ৮ ই মার্চ নেপালে পাচারের আগেই হাতির দাঁত সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল এসএসবির ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা।

জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এল একাধিক তথ্য

শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ঘোষপুকুর কলেজ মোড় এলাকা থেকে এসএসবির ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই দুজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের হাঁসখোয়া এলাকার এক বাড়িতে হানা দেয় বন দপ্তর। সেই বাড়ি তল্লাশি করার পর বাড়ির ভেতর থেকে হাতির দেহাংশ পাওয়া যায়। এরপরই বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের নাম গ্যান্ডা ওঁরাও। বাড়ি হাঁসখোয়া এলাকায় ঘোষপুকরে । ফাঁসিদেওয়া বনদপ্তরের রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া জানান,  এখনই বিষয়ে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে দুটো ঘটনারই তদন্ত চলছে। এর পিছনে আরও কারা কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"

Advertisement

 এদিন দুজনকেই শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement