বৈকুণ্ঠপুরের গুণ্ডা হাতিদের কাণ্ড
জঙ্গল থেকে গুটি গুটি পায়ে নিঃশব্দে বেরিয়ে এসে তিস্তার চর এলাকায় দাপিয়ে বেড়ালো পঞ্চাশটি হাতির একটি দল। শুধু দাপিয়ে বেড়ালেও হতো, খেয়ে গেল, তিস্তার চরে চাষ করে রাখা লক্ষাধিক টাকার বাদাম ও ভুট্টা। সারা বছরের রোজগার হাতির পেটে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছেন ভুট্টা বাদাম চাষিরা।
হাতির দল খেয়ে নষ্ট করে চলে যাচ্ছে
জলপাইগুড়ি জেলার শিলিগুড়ি লাগোয়া রাজগঞ্জ ব্লকের বারপেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নাথুয়া এলাকায় তিস্তার চরে কয়েক একর জমির ওপর চাষ করে রাখা ভুট্টা ও বাদাম খেয়ে সাবাড় করে দিলো হাতির দল। যে টুকু খেতে পারল না লন্ডভন্ড করে গায়ে-মাথায় মেখে দুর্বাসা সেজে ফিরে গেল দলটি। পরপর কয়েকদিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে এলাকায়।
ভুট্টা-বাদাম চাষেই আসছে বিপদ
বেশ কিছু বছর ধরে ওই এলাকায় সবজির পাশাপাশি বাদাম ও ভুট্টা চাষ করা হচ্ছে। ফলে লাগোয়া বৈকন্ঠপুর জঙ্গল থেকে প্রায়ই হাতির দল ফসল পাকলেই খেতে চলে আসে। তবে এত বড় দল আগে আসেনি। বেশ কিছুদিন ধরেই প্রায় ৫০ টি হাতির একটি দল ওই এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। সন্ধ্যার আগেই তারা এলাকায় ঢুকে যাচ্ছে। সন্ধ্যা হলেই অপারেশনে নামছে, তছনছ করে দিচ্ছে চাষের ক্ষেত। ফলে সারা বছর ধারকর্জ করে চাষ করার ফলে মাথায় হাত চাষিদের।
হাতির দল ঘাঁটি গেড়েছে আশপাশেই
এমনকী হাতির দল আশপাশেই ঘাঁটি গেড়ে থাকায় আগাম বাদাম তুলে নেবেন, সেটিও করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। বন দপ্তর এর তরফ এ কোনও রকম সাহায্য করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা।
তিস্তার জল বাড়ায় হাতির দলকে ফেরানো যাচ্ছে না
বনবিভাগের তরফে জানানো হয়েছে হাতির দলটি কয়েকদিন ধরে এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে। তবে তিস্তার জল বেড়ে যাওয়ায় দলটিকে তাড়িয়ে ফেরে ঢুকিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করা যায়নি। জল না নামলে কিংবা হাতির দল নিজে থেকে ফিরে না গেলে দপ্তরের তরফে এই কাজ করা মুশকিল।