Advertisement

মাদারিহাটে বাজেয়াপ্ত সাইলেন্সার রাইফেল, গ্রেফতার চোরাশিকারি

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মাদারিহাট থেকে গ্রেফতার হল এক চোরাশিকারি। ধৃত চোরাশিকারির বাড়ির বাঁশ বাগানের পাশে মাটিতে পুঁতে রাখা দুটি সাইলেন্সার লাগানো রাইফেল উদ্ধার করা হল। ঘটনা চাঞ্চল্য জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান এলাকায়।

ফাইল ফটোফাইল ফটো
Aajtak Bangla
  • মাদারিহাট,
  • 14 May 2021,
  • अपडेटेड 3:22 PM IST
  • মোট ৪ জন চোরাশিকারি দফতরের জালে
  • মূল পাণ্ডা এখনও অধরা
  • নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মাদারিহাট থেকে গ্রেফতার হল এক চোরাশিকারি। ধৃত চোরাশিকারির বাড়ির বাঁশ বাগানের পাশে মাটিতে পুঁতে রাখা দুটি সাইলেন্সার লাগানো রাইফেল উদ্ধার করা হল। ঘটনা চাঞ্চল্য জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান এলাকায়।

সম্প্রতি গণ্ডার চোরাশিকারে ব্যবহৃত হয়েছে এই বন্দুক

সম্প্রতি ৪ মে জলদাপাড়ায় গন্ডার হত্যায় এই বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে বলে বন দপ্তর জানতে পেরেছে। এ ছাড়াও অন্যান্য বন্যপ্রাণ হত্যায় এই রাইফেলগুলি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত মুখ খুলতে চাইছে না বন দপ্তর। ধৃত ব্যক্তি জলদাপাড়া গন্ডার হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে বন আধিকারিকদের ধারণা।

আরও পড়ুন

তপসিখাতায় বন কর্মীদের অভিযান ও সাফল্য

বৃহস্পতিবার পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বনদপ্তর এর কর্মীরা তপসিখাতার ওই ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি বাড়ির বাঁশ বাগানে মাটির নিচে প্লাস্টিকে মুড়ে দুটি সাইলেন্সার রাইফেল পুঁতে রাখা হয়েছিল। সেটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই সঙ্গে ২৪ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।

অভিযানের প্রেক্ষাপট

গত ৪ এপ্রিল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান এর চিলাপাতা রেঞ্জ এলাকায় একটি পূর্ণবয়স্ক গন্ডারের খড়্গহীন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গন্ডারের খড়্গ না থাকায় বন দপ্তর কর্তারা সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারেন, সেটি চোরা শিকারিদের কাজ। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে বনদপ্তর। ওই ঘটনায় এর আগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। চতুর্থ জনকে এদিন গ্রেপ্তার করা হয়।

মূল পাণ্ডা এখনও অধরা 

তবে চোরাশিকারে যুক্ত ঘটনার মূল পান্ডা এখনও অধরা। তাকে ধরতে পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে বন দপ্তর। পাশাপাশি ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। আরও বেশি তথ্য সংগ্রহ করছে বন দপ্তর। 

অভিযানের নেতৃত্ব

বৃহস্পতিবার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান এর সহকারী বন্যপ্রাণী সংরক্ষক দেব দর্শন রায়ের নেতৃত্বে কোদালবস্তি রেঞ্জ ও  চিলাপাতা রেঞ্জের বনকর্মীরা যৌথভাবে অভিযানে সামিল হন। তারা এর তপসীখাতা এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন।

এলাকায় চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্য

২০১৭-১৮ সালে পরপর ৬ টি গণ্ডার হত্য়া প্রকাশ্যে আসে জলদাপাড়ায়। সে ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে। নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এরপর নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছিল। তারপরও কীভাবে ফের গণ্ডার হত্যা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই জল অনেক দূর গড়াবে বলে মনে করছেন পরিবেশ ও প্রাণী প্রেমীরা। পাশাপাশি বন কর্তারা এই হত্যার সঙ্গে্ উত্তর পূর্ব ভারতের চোরাশিকারিরা জড়িত বলে সন্দেহ করছিলেন। তার মধ্যে স্থানীয় নাম জড়িয়ে পড়ায় অবশ্য অবাক হননি তাঁরা।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement