গৌতমে ভরসা, গৌতমে সন্দেহ
হেরে যাওয়া গৌতম দেবেই আস্থা রাখছে তৃণমূল। নিজে জেতা ছাড়া তাঁর নেতৃত্বে নিজের জেলাতেও কখনও ভাল ফল দিতে পারেনি তৃণমূল। তার উপর জীবনে প্রথমবারের মতো হারের স্বাদ পেয়েছেন, তা সত্ত্বেও তাঁকেই দায়িত্ব দিচ্ছে দল। তবে উত্তরের জেলাগুলিতে প্রাক্তন মন্ত্রীর উপর আস্থা দেখালেও সম্পূর্ণ আস্থা যে রাখতে পারছে না, তা পরিষ্কার হয়েছে, অভিষেককে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়ায়।
শিলিগুড়ি পুরনিগম দখলের ব্লু প্রিন্ট তৈরি হচ্ছে
ইতিমধ্য়েই শিলিগুড়ি পুরনিগম দখলে গৌতম দেব কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে সরিয়ে তৃণমূল নেতা গৌতম দেবকে প্রশাসক করা হয়েছে। গৌতমবাবু সহ তৃণমূল নেতারা ঢেলে কাজ করে শহরবাসীর মন পাওয়ার কাজ শুরু করেছেন। যদিও তাতে কতটা কাজ হবে তা সময়ই বলবে। কারণ এর আগে বাম, কংগ্রেস এমনকী সম্প্রতি বিজেপিকে সুযোগ দিলেও শিলিগুড়িতে তৃণমূলকে কখনও সুযোগ দেয়নি মানুষ। তাই এবার অন্তত শিলিগুড়ি পুরনিগম দখল করতে মরিয়া তারা। দুই প্রবীণ বাম নেতাকে দলে টেনে এনেছেন। তাতে কতটা কাজ হবে তা ভোট হলে বোঝা যাবে।
উত্তরে ঘাসফুলে সারের অভাব স্পষ্ট
দার্জিলিং জেলা থেকে প্রায় মুছে গিয়েছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে আলিপুরদুয়ারেও হোয়াইট ওয়াশ করেছে বিজেপি। কোচবিহার-জলপাইগুড়িতে অল্পের জন্য ব্রাউনওয়াশ হওয়া থেকে রক্ষা পেলেও মুখ লুকোনোর জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না তাঁরা। একমাত্র মালদাতে তৃণমূল ভাল ফল করেছে। আর যেটুকু ফল ভাল হয়েছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। ফলে উত্তরের অনেকগুলি জেলা নিয়ে কাজ করার অবকাশ রয়েছে। গৌতমের পাশাপাশি শান্তা ছেত্রীকেও পাহাড়ে তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিষেককে দিয়ে বাড়তি কবচ তৈরি করা হচ্ছে
জুনের তৃতীয় সপ্তাহে সম্ভবত প্রশান্ত কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ব্লক স্তরের নেতাদের নিয়ে নিজের পৃথক স্ট্রাটেজি তৈরি করবেন অভিষেক বলে খবর। জুলাই থেকে দলীয় সংগঠনের ফাঁক ফোকর মেরামত করে অল আউট অ্যাটাক করে সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্য়ে নামবেন তাঁরা। এর মধ্য়ে শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং জেলা, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারেও যাওয়র কথা তাঁদের। দুটি আলাদা দল নিজেদের মতো করে কাজ করবে। পরে সম্মিলিতভাবে তাঁরা দলের খামতি, সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা করে মেরামতির কাজ করবেন।