Advertisement

দার্জিলিংপ্রেমীদের জন্য সুখবর, শুরু হচ্ছে ২৩ দিনের 'ঘুম উৎসব'

দীর্ঘদিন ধরেই করোনা অতিমারির কারণে পর্যটন মার খেয়েছে। তার মধ্যে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে পাহাড়ের পর্যটন। আকর্ষণ বৃদ্ধিতে শুরু হচ্ছে ঘুম উৎসব।

ফাইল ছবিফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • দার্জিলিং,
  • 09 Nov 2021,
  • अपडेटेड 1:30 AM IST
  • ২৩ দিনের ঘুম উৎসব শুরু হচ্ছে
  • ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু হবে উৎসব

উৎসব শেষ বলে মন খারাপের কোনও জায়গা নেই। উৎসবের মরশুম শেষ হওয়ার আগেই, দার্জিলিংয়ে শুরু হতে চলেছে ‘ঘুম উৎসব’। দার্জিলিং জেলার মূল শহরে যাওয়ার পথে ছোট্ট হিল স্টেশন ঘুম। ১৩ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩ দিন ধরে চলবে এই উৎসব।

ঘুম হিমালয়ের তথা ভারতের উচ্চতম রেলওয়ে স্টেশন। পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম। টয় ট্রেনে চড়ে হিমালয়ের সৌন্দর্য অন্বেষণ করার জন্য দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেনের থেকে ভাল বিকল্প কিছু হয় না। এবার এই মন্ত্রকেই কাজে লাগানো হয়েছে পর্যটন শিল্পে। দার্জিলিংয়ের পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে আয়োজন করা হয়েছে ঘুম উৎসবের।

পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করে তুলতে টানা ২৩ দিন ব্যাপী ঘুম উৎসব পালন করা হবে। ১৩ নভেম্বর উৎসব শুরু হয়ে ৫ নভেম্বর ডিএইচআর দিবসের দিন শেষ হবে। দার্জিলিং স্টেশনে এই উৎসবে স্থানীয় সংস্কৃতি, অ্যাডভেঞ্চার এবং টু্রিজমকে তুলে ধরা হবে বলে জানা গিয়েছে। ১৯৯৯ সালের এই দিনটিতে ইউনেস্কোর তরফে ডিএইচআরকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসবে ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন

রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে উৎসবের লক্ষ্য হল পর্যটনকে চাঙ্গা করা। উৎসবে থাকবে গানবাজনা, লোকগান, স্থানীয় নৃত্য। এর পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য প্রতিদিন সকালে হেরিটেজ ওয়াক, ট্র্যাকাথনও থাকছে। এছাড়াও স্থানীয় শিল্পকে তুলে ধরে শিল্পীদের দার্জিলিং ও ঘুম স্টেশনে জায়গা দেওয়া হবে। তারা সেখানে নিজেদের তৈরি সামগ্রী বিক্রিও করতেও পারবেন। মঙ্গলবার একটি প্রেস বিবৃতিতে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক গুনিত কউর জানান, পর্যটনের সঙ্গে জড়িত একাধিক সংস্থা এই উৎসবকে সফল করতে এগিয়ে এসেছে।

করোনা প্রকোপের কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছিল দার্জিলিংয়ের পর্যটন শিল্প। দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিষেবা। অক্টোবর মাসে পুজোর মরশুমে পর্যটকদের আনাগোনা বেশ ভালই ছিল। তাতেও অবশ্য ক্ষতিপূরণ হয়নি। তাই ঘুম উৎসবের আয়োজন।

২৩ দিন ব্যাপী এই ঘুম উৎসব উপস্থাপিত করবে দার্জিলিংয়ের লোকসংস্কৃতিকে। প্রতিদিনই এখানে আয়োজন করা হবে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্টেশন চত্বরে ব্যস্ত থাকবে গানবাজনা, লোকগান, স্থানীয় নৃত্যে। স্থানীয় হস্তশিল্পকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরার জন্য বিশেষ আয়োজনও করা হয়েছে উৎসবে। এর পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য প্রতিদিন সকালে আরলি মর্নিং হেরিটেজ ওয়াক, ট্র্যাকাথনের মত অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement