Advertisement

হাতির আছাড় খেয়েও জীবিত যুবক, লটারিতে জীবন পেয়েছি দাবি তাঁর

চলন্ত মোটর বাইক থেকে যুবককে টেনে নামিয়ে  শুঁড়ে পেঁচিয়ে মাটিতে আছাড় মারল বুনো দাঁতাল হাতি।অবিশ্বাস্য ভাবে প্রাণে বেঁচে গেল সেই যুবক। তবে ওই যুবকের গলায়, কাঁধে, কোমরে চোট লাগলেও হাতির হামলা থেকে প্রাণ ফিরে পাওয়া ওই যুবক নিজের কপালকেই বিশ্বাসই করতে পারছেন না।

হাতির আছাড়ে জখম কানাইহাতির আছাড়ে জখম কানাই
অসীম দত্ত
  • আলিপুরদুয়ার,
  • 10 Jun 2021,
  • अपडेटेड 7:06 PM IST
  • হাতির আছাড় খেয়ে অজ্ঞান
  • তারপরও জীবিত কীভাবে, বুঝছেন না যুবক
  • সাহায্য করবে বন দফতর

হাতির আছাড় খেয়েও প্রাণ বাঁচল যুবকের

চলন্ত মোটর বাইক থেকে যুবককে টেনে নামিয়ে  শুঁড়ে পেঁচিয়ে মাটিতে আছাড় মারল বুনো দাঁতাল হাতি।অবিশ্বাস্য ভাবে প্রাণে বেঁচে গেল সেই যুবক। তবে ওই যুবকের গলায়, কাঁধে, কোমরে চোট লাগলেও হাতির হামলা থেকে প্রাণ ফিরে পাওয়া ওই যুবক নিজের কপালকেই বিশ্বাসই করতে পারছেন না।

আতঙ্কের  ছাপ চোখে মুখে

আরও পড়ুন

বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবকের চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।গতকাল রাতের ভয়ংকর কয়েক মূহুর্তের ছবি এখনও তরতাজা সেই যুবকের। যদিও একপাল হাতির হানা থেকে প্রাণ ফিরে পাওয়া সেই যুবক এবং তার পরিবার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন ভগবানকে।

কোথাকার ঘটনা

হাতির হামলার এই ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত আটটা নাগাদ বীড়পাড়ার লঙ্কাপাড়ার রাস্তায়। বুধবার মাদারিহাটের রবীন্দ্রনগরের স্থানীয় যুবক, পেশায় কাঠমিস্ত্রী প্রকাশ দাস ওরফে কানাই। দুপুর বারোটা নাগাদ মোটর সাইকেল নিয়ে তার বাড়ি থেকে বের হন। এরপর সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ওই যুবক রাত হয়ে যাওয়ার কারণে তিনি রাতে আর বাড়িতে ফিরবে না বলে বাড়িতে জানান। দিদির বাড়িতে থাকার কথা জানায়। এরপরই রাস্তায় একটি হাতির সামনে পড়ে কানাই। কানাইয়ের মোটর বাইকে লাথি মারে। এরপর কানাইকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে মাটিতে আছাড় মারে। তারপরে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রকাশকে বীরপাড়া ষ্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়।

হাড় হিম অভিজ্ঞতা

আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কানাই জানান ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। তিনি জানান, গতকাল রাতের ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য আমি জীবনে ভুলবো না। কানাই জানায় রাত হয়ে যাওয়ার কারণে আমি দিদির বাড়ি যাব বলে সিদ্ধান্ত নিই। রাস্তায় আটটা নাগাদ আচমকাই এক দল হাতির সামনে পড়ে যাই। একটি দাঁতাল হাতি লাথি মেরে আমার বাইকটি ফেলে দেয়। এরপর আমাকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে মাটিতে আঁছাড় দেয়। তারপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। কানাই বলে আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না আমি কীভাবে বেঁচে আছি।

পাশে দাঁড়াল বন দফতর

জলদাপাড়া বনদপ্তর জানিয়েছে হাতির হানায় যুবকের চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করবে বনবিভাগ।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement