মে-জুন মাসে হতে পারে জিটিএ নির্বাচন। শিলিগুড়িতে একটি অনুষ্ঠান থেকে এমনই ইঙ্গিত দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার পাঁচদিনের দার্জিলিং সফরে শিলিগুড়িতে পা রাখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়ির বাগডোগরার গোঁসাইপুরে সরকারি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এ কথা বলেন তিনি। সরকারি অনুষ্ঠান শেষে পাহাড়ে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে জিটিএ নির্বাচনের আগাম দলীয় পরিকল্পনা তৈরি করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
মুখ্য়মন্ত্রীর সম্ভাব্য সফর সূচি
জানা গিয়েছে দার্জিলিঙে পৌঁছে রিচমন্ড হিলে তিনি থাকবেন। এরপর ২৮ শে মার্চ তিনি পাহাড়ে থাকবেন। তবে ২৯ শে মার্চ দার্জিলিংয়ের ম্যালে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন। জানুয়ারি ৩০ তারিখে তিনি পাহাড়ে থাকবেন। এরপর ৩১ তারিখ দুপুরে দার্জিলিংয়ের রিচমন্ড হিল থেকে রওনা দিয়ে শিলিগুড়িতে পৌঁছবেন। জানা গিয়েছে রাতে শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যায় রাজ্য সরকারের অতিথিশালা কন্যাশ্রীতে রাত্রি যাপন করবেন তিনি। এরপর ১ তারিখ দুপুরে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে কলকাতা ফিরে যাবেন।
জিটিএ নির্বাচন পাখির চোখ
মুখ্যমন্ত্রীর এবারের দার্জিলিং সফর প্রশাসনিকভাবে যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি রাজনৈতিকভাবেও মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষ ওয়াকিবহাল মহল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে তৃণমূল কংগ্রেস এককভাবে শিলিগুড়ি পুরভোটের ক্ষমতা দখল করার পর মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন শিলিগুড়িবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ছিলেন। তাই এবারের এই সরকারই অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী শহরবাসীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পগুলি নিয়ে মানুষকে একগুচ্ছ নতুন সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শিলিগুড়িবাসীর মন জয় করার চেষ্টা করেন।
'হামরো' বিরোধীদের এক জায়গায় করতে হবে
তাছাড়াও এবার মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ সামনেই জিটিএ নির্বাচন এবং পাহাড়ের বাকি তিনটি পুরসভা নির্বাচন রয়েছে। সম্প্রতি দার্জিলিং পৌরসভা নির্বাচনে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে জোট করে আশানুরূপ ফল হয়নি। দার্জিলিং পৌরসভা একক ভাবে দখল করেছে অজয় এডওয়ার্ডয়ের দল হামরো পার্টি। তাই জিটিএ নির্বাচনের আগে পাহাড়ের বন্ধু দলগুলিকে একত্রিত করতে মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের ধারণা।
ছোট ছোট বৈঠক করতে পারেন মমতা
সূত্রের খবর দার্জিলিং পৌরসভা নির্বাচনে অনিতের দলের সাথে জোট করতে চেয়েছিল ঘাসফুল শিবির। তবে শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। ফলে অনিতের দলও একা লড়ে বোর্ডের দখল নিতে পারেনি। তাই জিটিএ নির্বাচনে নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে এবার তৃণমূলের সাথে জোট করতে পারে। তাই মুখ্যমন্ত্রী এই সফরে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অন্যদিকে দার্জিলিং পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করতে পারেন তিনি।