টিকা করণের দাবিতে পর্যটনমন্ত্রীকে চিঠি
পর্যটনের সঙ্গে যুক্তদের অগ্রাধিকার দিয়ে টিকাকরণের দাবি জানালো উত্তরের পর্যটন সার্কিট। দাবি জানিয়ে তাঁদের ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার হিসেবে ঘােষণারও দাবি জানানো হল। রবিবার তাঁরা রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের কাছে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে চিঠি দেন। হিমালয়ান হসপিট্যালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (এইচএইচটিডিএন)-এর তরফে এই আর্জি পেশ করা হয়েছে।
পর্যটনের ফিল্ড ওয়ার্কাররাও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার
সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যেভাবে পরিবহণ কর্মী, হকাররা অনলাইন খাবার সরবরাহ করছেন, হোটেল, রিসর্টে সেফ হোম খোলায় বহু পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত মানুষ রুজির তাগিদে জড়িয়ে গিয়েছেন। অনেক হোটেল, লজ, অতিথি নিবাসে স্বাস্থ্যকর্মীদের রাখা হচ্ছে। কোথাও আবার সেফ হোম করা হচ্ছে। সে সব জায়গায় যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরাও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের মতো কাজ করছেন। তাই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এঁদের টিকার প্রয়োজন।
করোনা স্বেচ্ছাসেবক হতে চান পর্যটনকর্মীরা
সেখানে পর্যটন শিল্পকে বেছে নিয়ে অগ্রাধিকার বুঝে কর্মীদের টিকাকরণের জন্য তালিকাভুক্ত করার কাজ করার উপর জোর দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি করোনা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তাঁরা সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতেও রাজি বলে জানান তাঁরা।
সম্পাদকের দাবি
এইচএইচটিডিএন-এর সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘পর্যটন শিল্প বিপর্যয়ের মুখে। তলানিতে ঠেকেছে ব্যবসা। তবু তাঁরা আশা ছাড়ছেন না। সম্পূর্ণ সুরক্ষা পেলে আগামীতে করোনা মোাকাবিলা করেই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালিয়ে যাবেন। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার. জলপাইগুড়ি অর্থাৎ তরাই-ডুয়ার্সের হোটেল, রিসর্ট, হোম-স্টে, লজ সব মিলিয়ে কয়েক লক্ষা যুবক যুবতী কাজ করেন। এর বাইরেও গাইড, গাড়িচালক, পোর্টার সহ বহু মানুষ আছেন। তাঁদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সুরক্ষা মিললে কাজের ক্ষেত্রে তাঁরা অনেকটাই নির্ভীক হতে পারবেন।
লোকসান বাড়ছেই
উত্তরের পর্যটন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে ধসে যায়। কখনও রাজনৈতিক অস্থিরতা, কখনও আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দার্জিলিং পাহাড়কে কেন্দ্র করে আবর্তিত পর্যটন বাধার মুখে পড়ে। এটা সয়ে নিয়েও চালিয়ে যেতে হয়। বছরে একটা ক্ষতি ধরেই রাখেন ব্যবসায়ীরা। তার উপর গত প্রায় এক বছরের বেশি সময় থেকে করোনা সংক্রমণ শুরু হতেই ধস নামে পর্যটন শিল্পে। অনেকে হোটেল-রিসর্ট লজের মালিকানা ছেড়ে দেন। গাড়ি বিক্রি করে দেন অনেকে। ফলে সরকারি সহায়তা যাতে থাকে তাঁর দাবিও জানানো হয়।