Advertisement

পাট খেতে শয়ে শয়ে মাছ, ব্যাগ ডোবালেই চলে আসছে হাতে

পাটক্ষেতে কি পাওয়া যায়? কি আবার? পাট। সহজ এবং স্বাভাবিক উত্তর এটাই। কিন্তু আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট, ফালাকাটা ব্লক এর একাধিক এলাকায় পাট খেতে গেলেই মিলছে শয়ে শয়ে বোয়াল মাছ। সঙ্গে পুঁটি। 

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • আলিপুরদুয়ার,
  • 01 Jul 2021,
  • अपडेटेड 5:41 PM IST
  • পাট খেতে মাছের ভাণ্ডার
  • মাছ ধরছে ছেলে থেকে বুড়ো
  • বোয়াল থেকে পুঁটি মাছের দেদার সম্ভার

পাটখেতে বোয়াল মাছ !

পাটক্ষেতে কি পাওয়া যায়? কি আবার? পাট। সহজ এবং স্বাভাবিক উত্তর এটাই। কিন্তু আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ফালাকাটা ব্লক এর একাধিক এলাকায় পাট খেতে গেলেই মিলছে বোয়াল মাছ। 

মাছ কুড়োতে হামলে পড়ছে ছেলে-বুড়ো

শুনে চমকে ওঠার কোনও কারণ নেই মাছ গাছে ধরছে না, খেতেও ফলছে না। নদীর জল উচ্ছে খেতে লুকিয়ে যায় জলের সঙ্গে দেদার আসছে বোয়াল, পুটি মাছ। আর তাই কুড়োতে হামলে পড়ছে ছেলে থেকে বুড়ো।

হাঁড়ি, গামলা, বালতি, ব্যাগ ডোবালেই উঠছে মাছ

মাদারিহাট এর খয়েরবাড়ি, ইসলামাবাদ, ফালাকাটার দেওগাঁও, এলাকায় মুজনাই নদীতে জল উপচে আশপাশের সমস্ত পাট খেতে ঢুকে পড়ছে। আর সেইসঙ্গে ঢুকছে সুস্বাদু দিব্য বোয়াল মাছ। সঙ্গে ঢুকছে পুঁটি মাছ। বিনি পয়সায়, মাগ্যি গন্ডার বাজারে মাছ পেলে কেনা লালায়িত হবে। তাই সকাল হলেই লোকজন হাঁড়ি, গামলা, বালতি, ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়ছে মাছ ধরতে।

বোয়াল মাছের ঝাল আর পুঁটি মাছের চচ্চড়ি

বোয়াল মাছের ঝাল আর সঙ্গে পুঁটি মাছের চচ্চড়ি। ডান হাতের অনুশীলন ভালো রকমই চলছে আলিপুরদুয়ারে জেলার ওইসব বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের। মুজনাই পাড়ের মানুষদের এখন বাড়ি বাড়ি প্রায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই মেনু।

এত বড় মাছ আগে ওঠেনি

এর আগেও মুজনাই নদীর জল উপচে পড়ায় বর্ষার সময় মাছ ঢুকে যেতে দেখা গিয়েছে এই সমস্ত এলাকায়। তবে এবারের মতো এত বড় ভালো বোয়াল আগে ঢোকেনি বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাই লকডাউনে রুজি-রোজগার বন্ধ থাকার সময়ে এভাবে ভগবানই মাছ জুগিয়ে দিচ্ছেন বলে ধারণা তাঁদের।

কাজ কর্ম নেই, তাই মাছ ধরো আনন্দে

মুজনাই ছাড়াও উত্তর দেওগাঁও এর একটি নালায় প্রতি বছরই ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ চলে আসে। সেগুলি কখনও জমা জলের পাট খেতে কিংবা পুকুরে গিয়ে আটকে পড়ে। কেউ জাল, কেউ ছিপ, কেউ খোঁচ নিয়ে নেমে পড়েন মাছ শিকারে। কিন্তু এত বড় বোয়াল এর আগে ওঠেনি বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এবার একেকটি এক থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত আকারের মাছ ধরেছেন অনেকেই। কাজকর্ম বন্ধ, তাই হাতে অঢেল সময়। বাড়তি সময় কাজে লাগিয়ে দুপুরে বাড়ি ফিরলেই সুস্বাদু ঝোলের অপেক্ষায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন আট থেকে আশি।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement