প্রতিবেশী দেশ ভুটানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ আটকে দিয়ে বিক্ষোভ দেখালো ভারত সীমান্ত শহর জয়গাঁওতে বসবাসকারী বাসিন্দারা। অভিযোগ ভুটানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য ভারতে বসবাসকারী বেশ কয়েকজন বাসিন্দার ঘরবাড়ি ভাঙা পড়েছে এবং বেশ কয়েকটি সুপারি বাগান কাটা পড়েছে।
গত একমাস ধরে কালচিনি ব্লকের পাসাখা ভুটান সীমান্তে ভুটানের পক্ষ থেকে সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ কাজ চলছে। সোমবার সকালে ভুটান পাসাখা সীমান্ত লাগোয়া আলিপুরদুয়ার জেলার জয়ঁগা আপার খোকলাবস্তি এলাকার বাসিন্দারা ভুটানের সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ কাজ আটকে দিয়ে বিক্ষোভে সামিল হল।
জয়ঁগা আপার খোকালাবস্তি এলাকার বাসিন্দারা জানান ভুটানের পক্ষ থেকে সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের যে কাজ চলছে সে কাজ প্রায় শেষের দিকে। সেই প্রাচীর নির্মাণের সময় আপার খোকলাবস্তি এলাকার বাসিন্দা সুগন তামাং, দেওয়ান তামাং, সন্তবীর তামাং, মঙ্গলি তামাং বীণা গুরুঙ এর ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জয়প্রসাদ রাই, মদন রাই এর সুপারি বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া পানীয় জলের পাইপ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে অভিযোগ। নির্মাণকারী সংস্থার গাড়ি, ট্রাক , জেসিবি চলাচলের জন্য ঘর ও সুপারি বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ওই সময় নির্মাণকারী সংস্থার পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত এখন কাজ শেষের পথে কিন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না। সেই ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবিতে এলাকাবাসী এদিন সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয় । গ্ৰামবাসীরা জানান ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
এ বিষয়ে আপার খোকলাবস্তি এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য পবনবীর মোক্তান জানান যে নির্মাণকারী সংস্থার গাড়ি চলাচল ও সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ সময় কয়েকজনের ঘর ও সুপারি গাছ নষ্ট হয়। ঐ সময় বলা হয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে । কিন্ত এখন ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হচ্ছে না। এই বিষয়ে নির্মাণকারী সংস্থার সুপারভাইজার বিক্রম ধামালা বলেন গ্ৰামবাসীরা আজ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। কোম্পানির তরফে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।