খেলা হবে শ্লোগান হিন্দুদের অপমান !
খেলা হবে দিবস নিয়ে শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। খেলাহবে দিবসকে আক্রমণও করেন তিনি। বলেন, খেলা হবে দিবস হিন্দুদের অপমান। খেলা হবে কোনও ফুটবলের ম্যাচ নয়। তৃণমূলের এই শ্লোগান সরাসরি উস্কানিমূলক। এটা বন্ধ করা উচিত।
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় শুভেচ্ছা
অন্যদিকে চলতি সপ্তাহেই দিল্লি থেকে ফেরার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা ও নিশীথ প্রামাণিকের। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীদের নিয়ে শহরে বেশকিছু কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামতেই সাংসদ রাজু বিস্তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় দলের তরফে। বিজেপি যুব মোর্চার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় এদিক তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে বিমানবন্দরে ভিড় করেছিলেন বিজেপি যুব নেতারা। ছিলেন দুই বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও আনন্দময় বর্মন, জেলা যুব সভাপতি কাঞ্চন দেবনাথ।
বর সেজেগুজে তৈরি অথচ বিয়ের তারিখই ঠিক হয়নি
পাহাড় ইস্যুতেও এদিন সরব হন তিনি। পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে যোগদান বিষয়ে বিনয়-বিমলকে কটাক্ষ করেন সাংসদ। তিনি বলেন, "বিয়ের তারিখ ঠিক হয়নি। কিন্তু বর তৈরি হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র দফতর ঠিক করবে কাদের ডাকবে। কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার ও এখানকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও পাহাড়ের বিভিন্ন দল থাকবে আলোচনায়।" দিল্লিতে সংসদ অধিবেশন শেষে শিলিগুড়িতে এমনই মন্তব্য করেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা।
ত্রিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে আলোচনা
সম্প্রতি গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসবে বলেই জানা গিয়েছে। মূলত পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের জন্যই এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সেই বৈঠকে বিমল গুরুং, বিনয় তামাংরা থাকবেন না বলেই জানিয়েছেন। অন্যদিকে অনিত থাপাও বৈঠকে যাবেন না বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন। তবে বৈঠকে কারা যাবেন তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে জোর আলোচনা চলছে পাহাড়জুড়ে।
কাদের ডাকা হবে তা স্বরাষ্ট্র দফতর ঠিক করবে
এই প্রসঙ্গে এদিন রাজু বিস্তা বলেন, "বিয়ের তারিখ ঠিক হয়নি। কিন্তু বর তৈরি হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র দফতর ঠিক করবে কাদের ডাকবে। কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার ও এখানকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও পাহাড়ের বিভিন্ন দল থাকবে আলোচনায়।" পাশাপাশি বলেন, অধিবেশনে দার্জিলিং,তরাই ডুয়ার্স নিয়ে দাবি রেখেছি। মাঝেমধ্যেই এখানে অশান্তি হয়। যে কারণে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের দাবি জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এই এলাকার উন্নয়ন হবে। গোর্খাদের স্বার্থেই কাজ হবে।
ত্রিপুরায় অশান্তি ছড়াতে চাইছে তৃণমূল
অন্যদিকে ত্রিপুরা নিয়ে বলেন, ত্রিপুরার মতো শান্ত রাজ্যকেও তৃণমূল অশান্ত করতে চাইছে। রাজনীতি নিজের জায়গায়। কিন্তু রাজনীতির জন্য সমাজে হিংসা ছড়ানো উচিত নয়। তৃণমূল সেখানে যা করছে, তা অত্যন্ত নিন্দাজনক ঘটনা।